পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>|< বিষয়ক প্রস্তাবে সংগ্ৰহ করিয়া রাখিয়াছেন। তাহাতে কৌতুহলী পাঠকের কৌতুহল চরিতার্থ হইতে পারে। পুরাতনপ্রিয় সমাজে এমনই ভাব দেখা গেল, যেন এই নবীন পূজারীর নৈবেগে বাদেবীর মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট হইবে। কিন্তু কিরূপে যেমন “এক দিন উত্তর গোগুহের মহাসমরে দেবদত্ত শঙ্খের তীম গৰ্জ্জনে বিরাটপুত্র উত্তর বীর হইয়াও চেতন হারাইয়াছিল, প্রতিপক্ষ বীরগণ যুদ্ধে জয়ের আশা নাই অবধারণ করিয়াছিল," তেমনই “মধুসূদনের মুখমারুতে প্রপূরিত হইয়া দেবদত্ত শঙ্খের সহিত পাঞ্চজন্য শঙ্খ প্রলয়পয়োনিধির ঘোর গর্জনে বিশ্ববিজয়ী মহারথদিগকে পর্য্যন্ত ভীত, স্তস্তিত, রোমাঞ্চিত, স্বেদখিয় ও বিপর্যাস্ত করিয়া তুলিয়াছিল,"তাহ বাঙ্গালাসাহিত্যের ইতিহাসে লিপিত হইয়াছে। মধুসূদনের কাব্য প্রকাশের অব্যবহিত পরেই প্রতিপক্ষের নিন্দ ও নব্য সমাজের প্রশংসা যখন পরস্পরকে পরাভূত করিতে চেষ্টা করিতেছিল, সেই সময় “বিদ্যোৎসাহিনী সভার” প্রবর্তৃক কালীপ্রসন্ন মধুসূদনের কার্য্যের গুরুত্ব উপলদ্ধ করিয়া তাহাকে সম্বদ্ধিত করিয়াছিলেন। সেই সস্বৰ্দ্ধনা যে নিন্দাদংশনপীড়িত কবির হৃদয়ে নূতন উৎসাহের সঞ্চার করিয়াছিল, তাহাতে আর সন্দেহ নাই । আমাদের রবীন্দ্র-সস্বৰ্দ্ধনার ও রামেন্দ্রসম্বন্ধনীর অৰ্দ্ধ শতাব্দী পূৰ্ব্বে বাঙ্গালার বিদ্যোৎসাহী ধনী কালীপ্রসরের চেষ্টায় নব্য বঙ্গের শ্রেষ্ঠ কবি স্বদেশী সুধাবৃন্দের দ্বারা সম্বদ্ধিত হইয়ছিলেন । বাঙ্গল নাট্য সাহিত্যও কালীপ্রসল্পের অনুরাগ লাভে বঞ্চিত হয় নাই। সে সাহিত্য তখন কেবল গঠিত হইতেছে। সে সময় তাহার পক্ষে সে আকুকুল্যের প্রয়োজন ছিল । তখনও বাঙ্গালায় সাধারণ নাট্যশালা প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। সুতরাং নাট্যশালার সাহায্যে নাট্যসাহিত্য গঠিত হুইবার সময় হয় নাই। সেই সময় কলিকাতায় ধনিগণের চেষ্টায়