পাতা:মহাত্মা গান্ধী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

রৌদ্রদগ্ধ বৈশাখের দীর্ঘ প্রহর কাটল পথে পথে।
সন্ধ্যাবেলায় আলোক যখন স্নান তখন তারা কালজ্ঞকে শুধায়,
‘ওই কি দেখা যায় আমাদের চরম আশার তোরণচূড়া।’
সে বলে, ‘না, ও যে সন্ধ্যাভ্রশিখরে অস্তগামী সূর্যের বিলীয়মান আভা।’
তরুণ বলে, ‘থেমো না বন্ধু, অন্ধতমিস্র রাত্রির মধ্য দিয়ে
আমাদের পৌঁছতে হবে মৃ্ত্যুহীন জ্যোতির্লোকে।’
অন্ধকারে তারা চলে।
পথ যেন নিজের অর্থ নিজে জ্ঞানে।
পায়ের তলায় ধূলিও যেন নীরব স্পর্শে দিকে চিনিয়ে দেয়।
স্বর্গপথযাত্রী নক্ষত্রের দল মূক সংগীতে বলে, ‘সাথি, অগ্রসর হও।’
অধিনেতার আকাশবাণী কানে আসে, ‘আর বিলম্ব নেই।’












১৩