পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । t তৎপর অল্প সময় মাধ্যই মহিষ তথায় আসিয়া পড়িল, এবং শিকার হারাইয়া অনেক তর্জন গর্জন করিল ; এবং তাহার শৃঙ্গ, খুড় ও থোত দ্বারা অনেক মৃত্তিক উৎখাত করিয়া ফেলিল ও অবশেষে বিফল মনোরথ হইয়া চলিয়া গেল। বিপন্মুক্ত হওয়ায় গোস্বামী মহাশয়ের মনে এরূপ কৃতজ্ঞতার উদয় হইল যে, সেই গর্তের মধ্যেই কৰ্ত্তাল বাজাইয়া কীৰ্ত্তন আরম্ভ করিলেন। সঙ্গী তাহার আচরণে বিস্ময় প্ৰকাশ করিলে বুলিলেন—“যাহার আশীৰ্ব্বাদে রক্ষা পাইলাম তাহাকে কি ধন্যবাদ না দিয়া থাকিতে পারি ?” মহিষ চলিয়া গেলে তঁাহারা বাহির হইয়া পুনরায় চলিতে আরম্ভ করিলেন। কিন্তু কিছু দূরে গিয়াই দেখিলেন একটী হরিণ আসিতেছে। সঙ্গী বলিল-“আমরা এক বিপদ হইতে উদ্ধার পাইয়া অপর বিপদের মুখে পড়িলাম। এই যে হরিণ দেখিতেছি। ইহার পশ্চাতে নিশ্চয়ই ব্যাস্ত্ৰ আসিতেছে। ব্যাভ্ৰ হইতে আর আমাদের নিস্তার নাই ।” গোস্বামী মহাশয় ইহা শুনিয়া হাতে তালি দিতে লাগিলেন এবং তাহাতে হরিণ অন্যপথে চলিয়া গেল। কিছুক্ষণ পরে বাঘ আসিল, কিন্তু হরিণকে অন্য দিকে যাইতে দেখিয়া বাঘও তাহার অনুসরণ করিল। তৎপর তাহারা সন্ধ্যাকালে এক বাথানে * উপস্থিত হইলেন । বাথানের লোকেরা হিংস্ৰ জন্তুর ভয়ে টঙ্গে থাকিত। বিশেষতঃ এই স্থান অত্যন্ত বিপদসংস্কুল বলিয়া ব্যাথানের লোকেরা ইহাদিগকে জলযোগ করাইয়া নিরাপদ "স্থানে পৌছাইয়া দিল। গোস্বামী মহাশয় বলিয়াছেন—‘এই ঘটনায় আমি ঈশ্বরের বিশেষ করুণ দর্শন করিয়াছি ; এ জন্য প্ৰতিদিন ইহা স্মরণ করি।” + LL SLLLSLGGSMSSSLL LLLLS LLLS eML LL LSLSL

  • পূর্ববাঙ্গলায় গোচারণের মাঠকে ৰাখান বলে। * এই ঘটনাটীর বিষয় অনেকেই অবগত আছেন ।