পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

తి মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । উপাসনা, আলোচনা এবং বক্তৃত হয়। ঈশ্বর লাভ, ঘাহা পৌত্তলিকতা, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারের আবশ্যকতা, এবং ২৩শে ফান্ধনের আন্তরিক পৌত্তলিকতা বিষয়ক ৰুত্ত্বত অত্যন্ত উদ্দীপনাপূর্ণ হইয়াছিল। উহাতে শ্ৰোতৃবৃন্দের মধ্যে অত্যন্ত উৎসাহ জন্মিয়াছিল। ‘অনেকে কুসংস্কার, পরিত্যাগ করিয়া উন্নত আদর্শের অনুরূপ জীবন যাপনে” ইচ্ছক হইয়াছিলেন। শেষোক্ত বিষয়ে বক্তৃতার দিন বক্তৃতান্তে লাখুটিয়ার জমিদার রাখাল বাবু ভাবে বিগলিত হইয়া অশ্রুপাত করিতে করিতে উপবীত ত্যাগের প্রতিজ্ঞা প্ৰকাশ করেন ; : তদর্শনে তঁাহারা ভ্ৰাতা বিহারী বাবু উপবীত ত্যাগ করেন ; এবং অনেকেই ক্ৰন্দন করেন । এই ঘটনায় বরিশালস্থ হিন্দুগণের মধ্যে হুলস্থূল পড়িয়া যায়। ঘরে ঘরে জাতিনাশের সম্ভাবনায় সকলের মনে মহা ত্ৰাস জন্মে । পূর্ববঙ্গলায় বরিশালে সৰ্ব্বপ্রথম স্ত্রীস্বাধীনতার স্ত্রপাত হয়। স্বৰ্গীয় দুৰ্গামোহন দাস এবং বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয়গণের চেষ্টাতে তথায় কোন পতিতা নারীর এবং কয়েকটিী বিধবা মহিলার বিবাহ হয়। রাখাল বাবুর সহধৰ্ম্মিণী গোস্বামী মহাশয়ের সঙ্গে ধৰ্ম্মালোচনা করিয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণে ইচ্ছক হওয়াতে রাখাল বাবু সপরিবারে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করেন, এবং ইহাদের দৃষ্টান্তে আরও চার পাঁচটী পরিবার প্রকাশ্যে ব্ৰাহ্মসমাজে প্ৰবেশ করেন। পূর্ববঙ্গলার প্রচার বিবরণের উল্লেখ করিতে গিয়া তিনি বলিয়াছেন,—“এবার পূৰ্ব্ববাঙ্গলায় ব্ৰাহ্মীদিগের সংগ্ৰাম আরম্ভ হইয়াছে । এ সংগ্রামে তাহদের নিরস্ত্ৰ থাকা উচিত নয় । প্ৰেম, ক্ষমা, সত্যপ্রিয়তা এই তিনটী অব্যর্থ অস্ত্ৰ সংগ্রহের জন্য সর্বদা চেষ্টা করা। কৰ্ত্তব্য। শক্রকেও ভ্রাতৃভাবে অকৃত্রিম প্ৰেম করিতে হইবে, অন্যে প্ৰহার করিলেও হৃদয়ের সহিত ক্ষমা করিতে হইবে, সহস্ৰ সহস্ৰ লোক খড়গ-হস্ত হইলেও শরীর পর্য্যন্ত ত্যাগ করিয়া