পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

xas মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । অনেক সন্ত্রান্ত লোক মূহ বিরক্ত হইয় তাহাদিগকে আক্রমণ করা হইয়াছে মনে করিয়া ১৩ই ফাস্তুন দুৰ্গাবাড়ীতে হিন্দুধৰ্ম্মরক্ষিণী সভার* প্ৰতিষ্ঠা করিলেন । উদীয়মান ব্ৰাহ্মদিগকে শাসন করাই এই সভার প্ৰধান উদ্দেশ্য ছিল । কিন্তু সেরূপ ক্ষুদ্র উদ্দেশ্য আর কত দিন থাকিবে ? পরে ঈশানচন্দ্ৰ বিদ্যারত্ন মহাশয়ের সময়ে এই সভার নাম হিন্দুধৰ্ম্ম-জ্ঞান-প্ৰদায়িনী সভা হয়। পরবর্তী সময়ে এই সভা দ্বারা হিন্দুসমাজের অনেক কল্যাণ হইয়াছে। দুর্বলচিত্ত ব্ৰাহ্মগণ অনেকেই সে পরীক্ষার অগ্নিতে তিষ্ঠিতে পারিলেন না । কয়েক দিন পরেই রামচন্দ্র বাবু প্ৰায়শ্চিত্ত করিয়া উপবীত গ্ৰহণ করিলেন ; অগ্নিহোত্ৰী মহাশয় উপবীত ত্যাগ করা অস্বীকার করিলেন । ঢাকা প্ৰকাশে তাহদের নাম বাহির হইয়াছিল ; বিজ্ঞাপনীতে অগ্নিহোত্ৰী মহাশয় লিখিলেন, —“গোলযোগের মধ্যে আমরাও জিহব। পরম্পরায় আরূঢ় হই যাছি, আমাদিগকে কেহ নিরুপবীত (लशन ने ।” রামচন্দ্ৰ শৰ্ম্ম, কৃষ্ণসুন্দর ঘোষ, জগদানন্দ সেন, কমলাপ্রসন্ন বল, অন্নদাপ্ৰসাদ দাস ও গোবিন্দচন্দ্ৰ বসু স্বাক্ষাবিত আর একখানি পত্ৰ বিজ্ঞাপনীতে প্ৰকাশিত হইল। উহাতে স্বাক্ষরকারীগণ বিজয় বাবুর সহিত আহারাদি করেন নাই বলিয়া ঘোষণা করিলেন । অবশিষ্ট ব্ৰাহ্মগণ সমাজ-ভযে ভীত হইলেন। সমাজের প্রাণস্বরূপ ঈশানচন্দ্ৰ বিশ্বাস পাবন। জেলাস্কুলে বদলী হইয়। গেলেন । গোপাল বাবুও স্থানান্তরিত হইলেন। পারিবারিক নিপীড়ন ও সামাজিক শাসনের ভয়ে বাবু পাৰ্ব্বতীচরণ রায়, গোবিন্দচন্দ্ৰ গুহ এবং গোপীকৃষ্ণ সেন প্ৰায়শ্চিত্ত করিতে বাধ্য হইলেন । ময়মনসিংহের এই দুর্দিনে, ব্ৰাহ্মসমাজের প্ৰিয় সেবক গোস্বামী