পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার । ܠ ܠ ܠ মহাশয় স্থির থাকিতে পারিলেন না। তিনি পুনরায় এখানে আগমন করিলেন। কালেক্টরীর সেরেস্তাদার রামকৃষ্ণ মুন্সি হিন্দুসমাজের প্ৰধান রক্ষক ও অগ্রগণ্য ব্যক্তি ছিলেন। গোপীবাবু, তাহার জ্যৈষ্ঠপুত্র। শ্ৰীযুক্ত বঙ্গচন্দ্র রায় যখন ময়মনসিংহ স্কুলে পাঠ করেন, তখন তিনি রামকৃষ্ণ মুন্সি মহাশয়েয় বাসায় থাকিতেন। তদবধি গোপীবাবুর সঙ্গে তাহার ঘনিষ্ঠ প্ৰীতি ছিল। তঁহার প্রভাবেই গোপীবাবুর জীবনে পরিবর্তন ঘটে । যখন বিজয় বাবু দ্বিতীয় বার আগমন করিলেন, তখন রামকৃষ্ণ মুন্সি পেনশন নিয়া দেশে চলিয়। গিয়াছেন। গোপীবাবু কালেকটরীর খাদাঞ্চি হইয়া পৈত্রিক বাসায় অবস্থিতি করিতেছেন। হিন্দুসমাজের প্রধান ব্যক্তি রামকৃষ্ণু মুন্সির বাসা বাড়ীর সুবিস্তােত আঙ্গিনায় চন্দ্ৰাতপতলে শান্তিপুরের গোস্বামী বিজয়কৃষ্ণ “শান্তি” বিষয়ে বক্তৃতা করিলেন। সহরের লোক ভাঙ্গিয়া পড়িল । অন্যান্য ছাত্ৰগণের সহিত আমরাও সে বক্তৃতা শুনিতে গিয়াছিলাম। এই বক্তৃতার সুখ্যাতি প্ৰাচীনদের মুখে আজও শুনিতে পাওয়া যায়। এই বক্তৃতার মৃতসঞ্জীবনী গুণে ব্ৰাহ্মদের জীবনে নবশক্তি প্ৰদান করিল। অনেকে ব্যাকুল হইয়া উচ্চৈঃস্বরে ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন। যাহারা পশ্চাৎপদ হইয়াছিলেন, তন্মধ্যে বাবু গোপীকৃষ্ণ সেন সমস্ত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করিয়া চিরদিনের তরে ব্রুগহ্মসমাজের আশ্রয় গ্ৰহণ করিলেন । পুৰ্ব্বতীবাবু সমাজের উপাচাৰ্য্য ছিলেন, কিন্তু তিনি প্ৰায়শ্চিত্ত করিয়া । আর সে ভার গ্ৰহণ করেন নাই । সমাজের সমস্ত ভার জেলা স্কুলের পণ্ডিত গিরিশবাবুর মস্তকে পতিত হইল।” * ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজ সংস্থাপনের পর প্রচারকগণ অধিকতর

  • , ময়মনসিংহের পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীনাথ চন্দ মহাশয়ের লিখিত নূতন গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি হইতে উদ্ধৃত ।