পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মজীবনের প্রতিকুল ভাৰ । >R> অমূলক অভিযোগসমূহ উত্থাপন করিতেছেন ; অথবা অপ্রণয় বশতঃ অভিযোগের কারণ অনুসন্ধানে তাহদের বিশেষ দৃষ্টি নাই। বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় প্ৰাচীন দলের সংস্কার বিরোধী ভাবের ঘোর প্ৰতিবাদকারী হইয়াও অপ্ৰণয় হইতে নিজকে দূরে রাখিতে সচেষ্ট ছিলেন। কিন্তু বাদ’ প্ৰতিবাদের ফল—অসহিষ্ণুতা, অপ্ৰেম, ক্রমে আরও বিস্তুত হইলে, সরসভাবের পরিবর্তে শুষ্কতার গাঢ় কৃষ্ণচ্ছায়া সকলের মনকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল। মানুষের সাধ্য কি উহার প্রভাবের মধ্যে বাস করিয়াও উহা হইতে সম্পূর্ণ নিন্মুক্ত রহে ? গোস্বামী মহাশয় ধৰ্ম্ম জীবনের প্রতিকূল ঐ সমস্ত ভাব হইতে আত্মরক্ষায় অসমর্থ হইয়া উদ্বিগ্ন হইলেন ; তিনি বুঝিতে পারিলেন, “অসহিষ্ণুতা, জিগীষা, মনকে উত্তেজনাপূর্ণ করিয়া তুলিয়াছে।” কিন্তু অন্তরে বিষ পুষিয়া রাখা তাহার প্রকৃতি-বিরুদ্ধ ছিল। এজন্য ছটফট করিয়া কলিকাতা ছাড়িলেন, শান্তিপুর গিয়া বাস করিতে লাগিলেন। অভিপ্ৰায় এই—“শান্তিপুরের প্রাকৃতিক শোভা দেখিয়া পুনরায় চিত্ত প্ৰশান্ত হইবে, সদ্ভাবসমূহ মনকে অধিকার করিবে ।” তিনি বসন্তকালের জ্যোৎস্না রজনীতে শান্তিপুরের ঘাটে বসিয়া বসিয়া গঙ্গার শোভা দেখিতেন, আর মনে করিতেন-‘হায় দয়াময় ঈশ্বর যে হস্তে এই সমস্ত শোভার আধার প্রকৃতি সৃষ্টি করিয়াছেন, এই নিরাধমকেও সেই হস্তে সৃষ্টি করিয়াছেন, সৃষ্টিকাল অবধি প্ৰকৃতির শোভা একই ভাবে অবস্থিতি করিতেছে, কিন্তু আমার হৃদয়ের শোভা কে হরণ করিল ?” এইরূপ চিন্তা হইতে র্তাহার মনে অত্যন্ত ব্যাকুলত জন্মিল। কিছুই আর ভাল লাগে না। অবশেষে একদিন শান্তিপুর নিবাসী ৬/হরিমোহন প্ৰামাণিক মহাশয়ের নিকট গিয়া মনের অবস্থা। জানাইলেন । ইনি একজন ভক্ত বৈষ্ণব, ইনি তঁাহাকে চৈতন্যচরিতামৃত