পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOe মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ইহাঙ্ক প্রতিবাদ করিলেন। ইহার পর তঁাহারা পুনরায় মুঙ্গেরে আসিলে তথায় কেশবচন্দ্রের প্রতি কতিপয় ব্যক্তির ভক্তি প্ৰকাশের বাহালক্ষর্ণে পূৰ্ব্বাপেক্ষা বাড়াবাড়ি অর্থাৎ কেশবচন্দ্ৰকে মধ্যবর্তী মনে করেন এরূপ ভাব ব্যক্ত হইল। “কেহ কেহ ভাবে উত্তেজিত হইয়া কত সময়, তাহাদের আচাৰ্য্যের। পদ ধারণ পূর্বক উচ্চৈঃস্বরে ক্ৰন্দন করিতেন। এবং এরূপ বাক্য বলিয়া তাহাকে সম্বোধন করিতেন যে সে সকল বাক্য ঈশ্বর ভিন্ন অন্য কাহাকে সম্বোধন করার প্রথা জনসমাজে প্ৰচলিত নাই।” এই সমস্ত দেখিয়া শুনিয়া গোস্বামী মহাশয় এবং তদীয় বন্ধু যদু বাবু তীব্ৰ প্ৰতিবাদ করিলেন । তৎপর তঁহার কলিকাতা আসিয়া “ডেইলি নিউসে’ ও ‘সোমপ্রকাশে’ নরপূজা নাম দিয়া, প্ৰতিবাদ-পত্ৰ প্ৰকাশ করিলেন । t “প্রচারক , দুইজন ( বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও যদুনাথ চক্ৰবৰ্ত্তী ) যে কেবল বাহিরের গুরু ভক্তির আড়ম্বর মাত্ৰ দেখিয়া তদ্বিরুদ্ধে প্ৰকাশ্য । পত্রিকায় লিখিয়াছিলেন তাহা স্বীকার করিতে পারা যায় না । কেন না। ঐ দুই জন অতি পবিত্র চরিত্র ব্রাহ্ম। একজন ব্ৰাহ্ম তর্ক করিতে চরিতে উক্ত প্রচারকের একজনকে এ প্রকার রেকান কথা বলিয়াছিলেন যাহাতে কেশব বাবুকে মধ্যাস্থের ন্যায় তিনি যেন বিশ্বাস করেন। এরূপ প্ৰকাশ পাইয়াছিল ।” *

  • কাৰ্ত্তিক মাসে কাৰ্ত্তিকের ঝড়ের ন্যায় অতি শীঘ্ৰ ঐ পত্ৰ চারিদিকে তুমুল তুফান তুলিল ।” এই সময় ভক্তির আধিক্য এবং তদনুযায়ী ভাষা যে কেবল কেশবচন্দ্রের প্রতিই অৰ্পিত হইয়াছিল তাহ নয়, তখন পা লইয়া কাড়াকড়ির খেলা যেন মুঙ্গেরে একটা নিত্যাক্রিয়ায় পরিণত হইয়াছিল। কিন্তু কেশবচন্দ্ৰকে আশ্রয় করিয়াই উহার প্রতিবাদ আরম্ভ হয়।
  • আচাৰ্য্য কেশব চরিত । r