পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুঙ্গেরের আন্দোলনের ফল। প্ৰতিবাদ-পত্ৰ প্ৰকাশিত হইলে অল্প দিন মধ্যে আন্দোলন স্রোতে পড়িয়া উভয় দলের বহু লোকের মন অত্যন্ত উত্তেজিত হইয়া উঠে , পরস্পরের প্রতি পরস্পরের সন্দেহ, অবিশ্বাস, কুৎসা-প্রবৃত্তি, অপকাৱেচ্ছা সকলই উত্থিত হইতে আরম্ভ হয়। গোস্বামী মহাশয়ের সরল ও সত্যানুরাগের প্রতি সন্দেহযুক্ত হওয়াতে কেহ কেহ তঁহাকে অবিশ্বাসী নাস্তিক, পাষণ্ড বলিয়া গালি দিতে প্ৰবৃত্ত হন । গোস্বামী মহাশয় প্ৰতিবাদকারী হইলেও তঁহাদের নেতৃস্থানীয় কেশবচন্দ্রের প্ৰতি শ্ৰদ্ধাযুক্ত ছিলেন ; কেশবচন্দ্রেরও তৎপ্ৰতি সদ্ভাব অক্ষুধু ছিল। তিনি বুঝিয়াছিলেন প্রতিবাদের মূলে অভিসন্ধি বা অবিশ্বাস নাই। শুনিয়াছি গোলযোগ অত্যন্ত পাকিয়া উঠিলে কেশবচন্দ্ৰ শান্তিপুর গিয়া গোস্বামী মহাশয়কে এই গোলযোগ থামাইয়া দিতে বলিয়াছিলেন । ইহাতেই তাহদের পরস্পরের সম্ভাবের পরিচয় পাওয়া যায় । “তঁহদের সন্তাবের প্রমাণস্বরূপ আরও উল্লেখ করা যাইতে পারে যে ১৭৯১ শকের ৪ঠা শ্রাবণ আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রের দ্বিতীয় পুত্রের জাতকৰ্ম্ম ও নামকরণ অনুষ্ঠানের উপাসনায় গোস্বামী মহাশয় আচাৰ্য্যের কাৰ্য্য করিয়াছিলেন ।” . ܐ ܕ বাদ প্ৰতিবাদে কলিকাতা তরঙ্গময়ী হইয়া উঠিলে এবং কোলাহল ও হলাহলে ব্ৰাহ্মগণের মন বিষাক্ত হইয়া পড়িলে গোস্বামী মহাশয় নিষ্কণ্টকে বাস করিবার আশায় শান্তিপুর গমন করেন। কিন্তু তথায় । অধিক দিন শান্তিতে বাস করা তাহার ঘটে নাই। সংগ্ৰামপূর্ণ ধৰ্ম্মপ্রচার র্যাহার জীবনের ব্ৰত ‘পরমেশ্বরের ইঙ্গিত ও আদেশ শুনিয়া চলিবেন? ইহাই যাহার মূলমন্ত্র তাহার পক্ষে কি নির্বিঘ্নে আরামে বাস করা কখনও সম্ভবপর হইতে পারে ? বিধাতার অভিপ্ৰায় তাহা নয় । , সুতরাং অল্প দিন পরেই তাহাকে পুনরায় কলিকাতায় আসিতে হইল ।