পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার । S8) প্রাচীন সমাজের সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করিয়া প্ৰকাশ্যে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করেন। ইহাদের মধ্যে শ্ৰীযুক্ত এ, সি, সেন, রজনীকান্ত ঘোস্তু বরদানাথ হালদার, নবকান্ত চট্টোপাধ্যায়, কালীনারায়ণ রায়, আনন্দচন্দ্ৰ নুন্দী এবং জালালউদ্দিন মিঞা প্রভৃতি ব্ৰাহ্মসমাজের পরিচিত ব্যক্তিগণ ছিলেন। ইহাদের ব্ৰাহ্মসমাজে প্রবেশের মুলে গোস্বামী মহাশয়ের ধৰ্ম্মজীবনের প্রভাব কিরূপ সহায়তা করিয়াছিল। তাহা স্মরণ করা উচিত। যদিও আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্ৰ ইতিপূর্বে দুইবার ঢাকা আসিয়া উদ্দীপনাময়ী বক্তৃতা দ্বারা কৃতবিদ্য যুবকদলের মনে উচ্চাদর্শ জাগ্ৰত করিয়া দিয়া গিয়াছিলেন, কিন্তু সেই ভাবের রক্ষণ ও পোষণের মূলে গোস্বামী মহাশয়ের উপদেশ ও বক্তৃতা, বিশেষ সহায়তা করিয়াছিল। তাহার হৃদয়স্পর্শিনী উপাসনা ও উত্তেজনাপূর্ণ বক্তৃতায় ইহাঙ্গের আন্তরিক নব আদর্শ ও অনুরাগের দিন দিন উপচয় হইয়াছিল। নতুবা প্রাচীন সমাজের দৃঢ়বন্ধন ছিন্ন করিয়া ব্ৰাহ্মসমাজে প্ৰবেশ করা তাঁহাদের পক্ষে সহজ হইত। কিনা সন্দেহ । তঁহার উপদেশাবলী সর্বদাই-অসত্য পরিত্যাগ কর ; কুসংস্কার পরিত্যাগ করিয়া সত্যের শরণাপন্ন হও তবেই সত্যের সাক্ষাৎকার সম্ভবপর হইবো ; মুখে যাহা বল এবং মনে যাহা বিশ্বাস কর কাৰ্য্যে তাহ প্ৰদৰ্শন কর। তবেই প্ৰকৃত জীবন লাভ হইবে, এই সমস্ত উক্তিতে পূর্ণ থাকিত। কেবল এই সমস্ত উপদেশেই সুফল লাভ হইয়াছে এমন বলা যায় না ; কিন্তু উপদেশের পশ্চাতে । র্তাহার যে উৎসাহিপূর্ণ পবিত্র জীবন সকলের দৃষ্টান্তস্থল হইয়াছিল, উহাতে আশ্চৰ্য্য পরিবর্তন সাধন করিয়াছিল ;—শিক্ষিত যুবকগণের ব্ৰাহ্মসমাজে প্রবেশে পূর্ববঙ্গের ঘরে ঘরে হুলস্থূল পড়িয়াছিল। এইরূপে তাহার বক্তৃতা ও উপদেশে যেমন পূর্ববঙ্গে সংস্কারের আরম্ভ হয়, তেমনি উহাতে উপাসকগণের মধ্যে ভক্তি সাধনের প্রতিও দৃষ্টি