পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

મક মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ਅ । গোস্বামী মহাশয় ভক্তির সাধক ছিলেন । ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মকে তিনি ভক্তিহীন জ্ঞানের ধৰ্ম্ম মনে করিতেন না । তঁহার এই সময়ের একটি উপদেশ হইতে ভক্তি সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ উদ্ধৃত করিতেছি ঃ-- “ভক্তি ধৰ্ম্মের প্রাণ, ভক্তি ধৰ্ম্মের জীবন, ভক্তি জীবের শান্তি, ভক্তি পাপীর গতি ; ভক্তিশূন্য ধৰ্ম্ম জীবনে স্থান পায় না । * * সাধনা ভিন্ন মুখের কথায় ভক্তি লাভ হয় না । হৃদয় শুষ্ক হইল বলিয়া চীৎকার করিবে, অথচ যত্নপূর্বক সাধনা করিবে না, তাহা হইলে তোমার কপট চীৎকার লোকের বিরক্তিকর হইবে। যে প্রকার সাধনা দ্বারা প্ৰাচীন ভক্তগণ চিরশান্তি ভোগ করিয়াছেন এক্ষণে তাহাই আলোচিত হইতেছে । প্রথম বিনয় ; হৃদয়ে বিন্দুমাত্র অভিমান থাকিতে ভক্তির মুখ দেখিতে পাইবে না। দ্বিতীয় সহিষ্ণুতা ও ক্ষম । জীবনে সুখ হইলেও: তঁহাকে ধন্যবাদ প্ৰদান করিবে, দুঃখ হইলেও তঁহারই প্ৰশংসা করিবে। কারণ তিনিই তোমার মঙ্গলের জন্য সুখ দুঃখের বিধান করেন । মনুষ্যের সহস্র অপরাধ দেখিয়াও ক্ষমাশীল হইবে, পরের অপকার না করিয়া উপকার করিত্বে । বিনয়, সহিষ্ণুতা ও ক্ষমা সাধন দ্বারা মানুষ্যের প্রতি অনুরাগ বৰ্দ্ধিত হইবে। যে ব্যক্তি মনুস্যকে প্রীতি করে না, সে ঈশ্বরকে প্রীতি করিতে সক্ষম হয় না । যে ধৰ্ম্মে কেবল মতামত লইয়া দলাদলি সেই ধৰ্ম্মে उडिक माद्ध ब्ााड्ने । মনুষ্যকে প্রীতি করাই প্ৰথম প্ৰকার সাধনের উদ্দেশ্য । সাধনা দ্বারা যেমন বিনীত হইতে হইবে, তাহার সঙ্গে সঙ্গে প্ৰতিদিন ব্ৰহ্মসাধন করিতে হইবে । শ্ৰবণাং কীৰ্ত্তনং বিষ্ণোঃ শরণং পাদ সেবনং। 獸 অৰ্চনং বন্দনং সংখ্যং দাস্য মাত্ম নিবেদনম্।