পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্ৰচায় । , , তন্ময় হইয়া যাইবে তখন শয়ন করিবে ; "এরূপ করিলে কোন প্রকারী: মলিন চিন্তায় তোমার মনকে চঞ্চল করিতে পরিবে না।” * এইরূপ নানা উপদেশ দিয়া সাধু স্বস্থানে গমন করিলেন ; তিনিও গৃহে আসিলেন। এই সময় অনুতাপে তাহার মনের অবস্থা কিরূপ হইয়াছিল তাহার আভাস ঐ সময়ের রচিত সঙ্গীতটিতে কতক ব্যক্তি হইয়াছে। এজন্য এস্থলে উহা উদ্ধৃত হইল ঃ---- মলিন পঙ্কিল মনে কেমনে ডাকিব তোমায় ? পারে কি তৃণ পশিতে জ্বলন্ত অনল যথায় । তুমি পুণ্যের আধার, জ্বলন্ত অনল সম, আমি পাপী তৃণ-সম, কেমনে পূজিব তোমায়। শুনি তব নামের গুণে তারে মহা পাপী জনে, লাইতে পবিত্ৰ নাম, কাপে হে মম হৃদয় । অভ্যস্ত পাপের সেবায় জীবন চলিয়া যায়, কেমনে করিব আমি, পবিত্ৰ পথ আশ্রয়। এ পাতকী নরাধমে, তার যদি দয়াল নামে, বল করে” কেশে ধরে’, দাও চরণে আশ্ৰয় ।” পশ্চিম হইতে প্রচার করিয়া ফিরিয়া আসিয়া তিনি কিছুদিন সপরিাবারে মুঙ্গোরে বাস করেন। ইতিমধ্যে র্তাহার জ্যেষ্ঠা কন্যা সন্তোষিণীর জ্বর বিকারে মৃত্যু হয়। এই শোকের ব্যাপারে তিনি “শোকোপহার” নামে একখানি ক্ষুদ্র কবিতা পুস্তক রচনা করিয়াছিলেন ।

  • এই ঘটনাটী যে সময়ের তাহার ২০ । ২৫ বৎসর পরে তিনি যখন "গেণ্ডারিয়া আশ্রমে ছিলেন তখন একদিন কথা প্রসঙ্গে ইহা প্ৰকাশ করেন ; প্ৰকাশ করিয়াই বলিলেন, “২০। ২৫ বৎসর পূর্বের ঘটনা আজ ব্যক্ত করিয়া অপরাধ করিলাম।” এই ঘটনাটি অনেকেই অবগত আছেন।