পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । কলিকাতােস্টাইতে অযোধ্যানাথ পাকড়াশী মহাশয় ঢাকায় আগমন করেন। গোস্বামী মহাশয় যুবক ব্ৰাহ্মদল সহ স্বতন্ত্র হইলেও পূর্ববাঙ্গািল। ব্ৰাহ্মসমাজ মন্দিরে সময় সময় বক্তৃতা করিতেন। ২১ শে ভাদ্রের “পূর্ববাঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজ” সম্বন্ধীয় এবং ২৩শে ভাদ্রের “পুণ্যভূমি ভারতবর্ষা” সম্বন্ধীয় তাহার বক্তৃতা দীর্ঘ ও ওজস্বিনী হইয়াছিল। ইতিপূৰ্ব্বে ঢাকাস্থ উৎসাহী যুবক ব্রাহ্ম শ্ৰীযুক্ত বরদান্নাথ হালদার, সারদান্নাথ হালদার ও নবকান্ত চট্টোপাধ্যায় প্রভূতি মহোদয়গণের উদ্যোগে তঁহাদের কোন আত্মীয়া কুলীন কন্যা ব্ৰাহ্মসমাজে আনীত হন । কন্যার আত্মীয়গণ কোন বৃদ্ধ কুলীন ব্ৰাহ্মণের সঙ্গে তঁাহার বিবাহ স্থির করিলে দেশহিতৈষণার মন্ত্রে দীক্ষিত র্তাহার উক্ত যুবক আত্মীয়গণ মৰ্ম্মাহত হইয়া প্ৰতিকূল হন ; এবং বহু চেষ্টায়। ইহাকে উদ্ধার করেন । ইহাতে কন্যার অপরাপর আত্মীয়গণ-প্রেরিত গুণ্ডার লগুড়াঘাতে একজন যুবক মাথা ফাটিয়া গিয়া মৃত্যুশয্যায় শায়িত হইয়াছিলেন। কিন্তু ইহাতেও তঁহাদের উৎসাহের বিরাম হয় নাই। পরে ধর পড়িবার ভয়ে তঁাহার কন্যাটীকে বরিশালের পথে কলিকাতায় পাঠাইয়া দেন। বরিশালে দুৰ্গামোহন দাস মহাশয় হঁহাদিগকে আশ্রয় দিয়া পরে কলিকাতায় প্রেরণ করেন। তখন ঢাকাস্থ হিন্দুধৰ্ম্মরক্ষিণী সভার উদ্যোগে যে হিন্দু-হিতৈষিণী পত্রিকা প্ৰকাশিত হইত, উক্ত পত্রিকায় এই কাৰ্য্যের তীব্ৰ প্ৰতিবাদ ও উক্ত কাৰ্য্যকে বালিকা অপহরণ নাম দিয়া ব্ৰাহ্মদের প্রতি অজস্র নিন্দ ও তিরস্কার বর্ষণ করা। হইয়াছিল। গোস্বামী মহাশয়ের শেষোক্ত বক্তৃতা—“পুণ্য-ভূমি ভারতবর্ষ” উহারই প্ৰতিবাদস্বরূপ প্ৰদত্ত হয় । তিনি উক্ত বক্তৃতায় ভারতের প্ৰাচীন গৌরব এবং বর্তমান কুসংস্কার, দুনীতি ও দেশাচারের মহানিষ্টকারিতা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে ওজস্বিনী ভাষায় প্ৰদৰ্শন করেন।