পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহালায় রোগীর সেৰা । See করিতে হইত। ঐ কাৰ্য্যে এরূপ কঠিন পরিশ্রম করিতে হইয়াছিল যে উহাতে তঁাহার স্বাস্থ্য চিরদিনের মত ভগ্ন হইয়া যায়। , ' ' è “এই সময় কলিকাতার ৫/৬ মাইল দূরবর্তী বেহালা এবং তাহার পার্শ্ববৰ্ত্তী পল্লীসমূহ জ্বর রোগে আক্ৰান্ত হইয় পড়ে। * * ভারতসংস্কার সভা এ সময়ে উদাসীন থাকিতে পারিলেন না। এই সভার পক্ষ হইতে শ্ৰীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণু গোস্বামী, শ্ৰীযুক্ত কান্তিচন্দ্ৰ মিত্ৰ, ডাক্তার শ্ৰীযুক্ত দুকড়ি ঘোষ সপ্তাহে দুদিন বেহালায় গমন করিতেন। তিন দিনের উপযুক্ত ঔষধ ও পথ্যাদি সঙ্গে লইয়া তাহারা যাইতেন ; এবং দুই দিন তাহাদিগকে প্ৰায় সমুদায় দিন উপবাসী থাকিয়া রোগীদিগকে ঔষধ পথ্য বিতরণ করিতে হইত। তাহারা প্ৰাতে সাতটার সময় গিয়া অপরাহ্ন তিনটা পৰ্য্যন্ত রোগীদিগকে ঔষধ পথ্য বিতরণ করিয়া গৃহে ফিরিয়া আসিতেন ।” * গোস্বামী মহাশয় “প্ৰত্যুষে উঠিয়া স্নান ও ঈশ্বরোপাসনা সারিয়া কিঞ্চিৎ জলযোগপূর্বক ঔষধ ও পথ্যাদি লইয়া বেহালাতে গমন করি।- তেন।” আবার প্রায় সমস্ত দিনের পরিশ্রমের পর দুই তিনটার সময় আসিয়া কিছু আহার করিয়াই পরিশ্রান্ত শরীরে স্ত্রীবিদ্যালয়ের অধ্যাপনায় নিযুক্ত হইতেন। রাত্ৰিতেও তঁাহার বিশ্রাম ছিল না ; অনেকক্ষণ জাগিয়া কঠিন পরিশ্রম সহকারে অধ্যয়ন ও পুস্তকাদি লিখিতে প্ৰবৃত্ত থাকিতেন। ইহার উপর ধৰ্ম্মালোচনা, উপাসনা, চিন্তা, ধ্যান চলিত। শরীর কত সহিবে ? এইরূপ অপরিমিত পরিশ্রমে অচিরে তঁাহার হৃদয়ে ংঘাতিক বেদন জন্মিল ; এবং সেই বেদনায় মাঝে মাঝে তাহার সংজ্ঞা বিলুপ্ত হইতে আরম্ভ হইল। তিনি যখনই কোন কাজে প্ৰবৃত্ত হইতেন দেহ মন প্ৰাণ ঢালিয়া দিয়া উহার জন্য এমন পরিশ্রম করিতেন যে ,

  • আচাৰ্য্য কেশব-চরিত।