পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ইচ্ছার প্রতিষ্ঠার জন্য আরও নিমগ্ন হইতে হইবে, আরও প্রগাঢ় রূপে উপহার সাধন ভজনে নিয়োজিত হইয়া দিবসব্যামিনী তৎসহবাসে বাস করিত্বে হইবে।” এই ভাব হইতে র্তাহাতে ব্যাকুলতার আরও বৃদ্ধি হইল, যেভাবে সাধন ভজন চলিতেছিল তাহার নিকট উহা নিতান্ত অপ্রচুর বলিয়া বোধ হইল। গোস্বামী মহাশয় বাগতিৰ্মাচড়ায় অবস্থান করিতেছেন, এ দিকে কলিকাতায় আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রের কন্যার বিবাহ লইয়া হুলস্থূল আরম্ভ হইয়াছে। স্বপক্ষ বিপক্ষ দুই দল পরস্পর পরস্পরের প্রতিবাদে প্ৰমত্ত হইয়া डेठिंशाविर्म'। বিবাহের বিরুদ্ধে নানা আপত্তি উত্থাপিত হইলে সব দিক শুনিয়া পরে তিনিও ঐ আন্দোলনে যোগদান করেন। স্বাগত্মাচড়ার কোন প্ৰাচীন ব্যক্তি বলিয়াছেন;—“র্তাহাকে এই বিবাহের প্ৰতিবাদী হইতে দেখিয়া তঁহার একজন ব্ৰাহ্মাত্ৰাত কলিকাতা হইতে বাগত্মাচড়ায় তাহার সহধৰ্ম্মিণী যোগমায়া দেবীকে লিখিয়াছিলেন - “আপনি গোস্বামী মহাশয়কে বুঝাইয়া বলিবেন তিনি যেন কেশব বাবুর বিরুদ্ধে কিছু না লেখেন অথবা তাহার বিরুদ্ধপক্ষাবলম্বন না করেন। এরূপ করিলে আপনারা নিরুপায় হইয়া পড়িবেন ।” গোস্বামী মহাশয় উক্ত পত্ৰ পাঠ করিয়া উচ্চৈঃস্বরে হাসিয়া বলিলেন - “ইহারা কি পাগল হইয়াছেন ? কেশব বাবু কি আমার সৃষ্টিকর্তা না পালনকৰ্ত্তা ? আমি কি তঁহাকে দেখিয়া ব্ৰাহ্মসমাজে আসিয়াছি ? সত্যের অবমাননা আমি কখনও সহ্য করিতে পারিব না ।” আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রের কন্যার বিবাহে যাহারা প্ৰধান আন্দোলনকারী ছিলেন গোস্বামী মহাশয় তন্মধ্যে অন্যতম। যদিও তাহার প্রতিবাদ অত্যন্ত তীব্ৰ হইয়াছিল। তবুও এ কথা সত্য যে স্বাৰ্থ, জয়াশা "ইত্যাদি ক্ষুদ্র ভাব দ্বারা তিনি কখনও চালিত হন নাই। যাহা সত্য বুঝিয়াছেন