পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১, ১৯০ : - মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। “ সমালোচক পত্রের মন্তব্য এইরূপ —“পণ্ডিত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর * ঢাকা নগরে আগমনাবধি অত্ৰত্য ব্ৰাহ্মগণের উৎসাহ ঘূৰ্ত্তি ও নুতন্ত্র জীবন লাভ হইল। . পূর্বে মন্দিরের আসনগুলি শূন্যপ্রায় থাকিত । বিজয় বাবুর ধৰ্ম্মানুরাগ, সরল ব্যবহার ও সদুপাদেশে এত লোক আকৃষ্ট হইতে লাগিল যে ব্ৰহ্মমন্দিরে আর লোকের স্থান হইত না। পূৰ্ব্ব- * বাঙ্গলা বিজয় বাবুর নিকট বিশেষ ঋণী এবং অনেক দিল হইতে গঙ্গহার প্ৰতি অনুল্পক্ত "ছয় সাত বৎসর পর তাহাকে লাভ করিয়া পূর্ববঙ্গল ব্ৰাহ্মসমাজের মৃত্যুগণ আগ্রহ ও যত্ন প্রকাশ করিতে লাগিলেন। এখানে সৰ্ব্বদাই विकड्द्रि ন্যায়। একজন সচ্চরিত্র ও বিশুদ্ধ মতাবলম্বী ব্যক্তি আচাৰ্য্য থাকেন ইহা একান্ত প্ৰাৰ্থনীয় ।” এস্থলে তাহার প্রচার বিবরণ কিঞ্চিৎ উদ্ধত হইল ;— “প্রতি রবিবার সন্ধ্যার সময় পূর্ববঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজে আচাৰ্য্যের কাজ করিয়াছি। উপাসক ও দর্শকে গৃহ পূর্ণ হইয়া থাকে। মহাভারত, রামায়ণ, ভগবদগীত, উপনিষদ, যোগবশিষ্ট, মহানির্বাণতন্ত্র এই সমস্ত সংস্কৃত গ্ৰন্থ হইতে সত্য সকল গ্ৰহণ করিয়া বিবৃত করাতে অনেকে উপকার বোধ করিয়াছেন । ঢাকাতে ব্ৰাহ্মসমাজে উপাসনা ভিন্ন ধৰ্ম্ম প্রচারের অন্য উপায় ছিল। না। এজন্য প্রতি পাক্ষিক শনিবারে সাধারণের জন্য ধৰ্ম্মশিক্ষা প্ৰদান করিয়াছি। ব্ৰাহ্মবন্ধুগণ যাহাতে সম্মিলিত হইয়া ধৰ্ম্মালোচনা করিতে পারেন তজ্জন্য প্রতি মঙ্গলবারে বিবিধ বিষয় লইয়া আলোচনা করিয়াছি। উপাসনা ও কীৰ্ত্তন হইয়া পরে আলোচনা হয়। এই আলোচনা সভাতে স্থিরীকৃত হইয়াই রবিবাসরীয় বিদ্যালয় ও ব্রাক্ষিক সম্মিলনসভা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। ‘আমার জীবনের পরীক্ষিত বৃত্তান্ত’। ‘ব্ৰাহ্মসমাজে মতভেদ ও অন্দোলন” (২টা) ও “পরীকাল’ সম্বন্ধে প্ৰকাশ্য বক্তৃত।