• ؟ . .. '*ه ா * ব্ৰাহ্মাধৰ্ম্ম প্রচার । . g
- এইরূপে ১২৮৫ সনের আষাঢ় মাস হইতে ১২৮৭ সনের মাঘ মাস পৰ্যন্ত প্ৰায় আড়াই বৎসর তিনি পূর্ববঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজের আচাৰ্যের পদে নিযুক্ত থাকিয়া উক্ত সমাজের আচাৰ্য্যের কাৰ্য্য ব্যতীত ব্ৰাহ্মণবাড়িয়া, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, বাগাত্মাচড়া, মহেশপুর, 'কলিকাতা, মহেশতলা, বৰ্দ্ধমান, বিক্রমপুরের অন্তর্গত তাজপুর, পশ্চিমপাড়া, জৈনসার, প্রভৃতি নানা স্থানে উৎসব ও মন্দির প্রতিষ্ঠাদি উপলক্ষে গমন করিয়া উপাসনা, আলোচনা, বক্তৃতাদি করেন । শত শত লোক তঁহার জন্বলন্ত উপদেশ শ্রবণ করিয়া ধন্য হয় । * , ,
র্তাহার জীবনের প্রভাব শিক্ষিত অশিক্ষিত সকল শ্রেণীর লোকের উপর আশ্চৰ্য্য কাৰ্য্য করিয়াছিল । তিনি ইংরেজী অল্পই জানিতেন, কিন্তু তাহার ধৰ্ম্মজীবনের আকর্ষণে ইংরেজী-শিক্ষিত ব্যক্তিগণকেও৯ মন্ত্ৰমুগ্ধ হইয়া তাহার সহবাসের জন্য, লালায়িত হইতে দেখা যাইত। - তিনি শারদীয় উৎসবোপলক্ষে মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্র হইতে পাৰ্ব্বতী ওশিবের কথোপকথন বিষয়ক কতিপয় শ্লোক উদ্ধৃত করিয়া পূর্ববঙ্গলায় যে বক্তৃতা করেন। উহা “ব্ৰহ্মপূজা’ নামে ক্ষুদ্র পুস্তিকাকারে মুদ্রিত এবং বিতরিত হইয়াছিল। তঁহাকে সৰ্ব্বদাই হিন্দুশাস্ত্ৰ হইতে শ্লোক সংগ্ৰহ করিয়া ধৰ্ম্মার্থী নরনারীর সম্মুখে ব্যাখ্যা করিতে দেখা যাইত। দেশের লোক শাস্ত্রের প্রকৃত তত্ত্ব গ্রহণে বিমুখ হইয়া তুচ্ছ ক্রিয়াকাণ্ডে রত ৱিহিয়াছে, ইহাতে তাহার অত্যন্ত ক্লেশানুভব হইত । শাস্ত্রের প্রকৃত মৰ্ম্ম যাহা তাহদেরই পূর্বপুরুষ ঋষিগণ ব্ৰহ্ম সাধনাবলে অর্জন করিয়া গ্ৰন্থাবদ্ধ করিয়া রাখিয়া গিয়াছেন। উহা হৃদয়ঙ্গম হইলে “তাহারা প্ৰকৃত পথের আশ্রয় লাইবে, ক্রিয়ানুষ্ঠান ছাড়িয়া, ব্ৰহ্মজ্ঞান, ব্ৰহ্মধ্যানকে জীবনের পরম সাধনীয় রূপে গ্ৰহণ করিবে” এই বিশ্বাসে তিনি সৰ্ব্বদাই শাস্ত্ৰ ব্যাখ্যা করিয়া উপদেশ দিতেন। আর এইরূপে জাতীয়ভাৱে
