পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

வ . ,熙 -ظ ! | s', ১২৮৭ সালের মধ্যভাগে তিনি ঢাকা হইতে অবসর লইয়া বিশেষ কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রচারার্থে যাত্রা করেন। পর্মগ্র দেশের নরনারীর নিকট মুক্তির সমাচার প্রচার করিবার জন্য যিনি সেবাব্রষ্ঠ গ্ৰহণ করিয়াছেন, কাহার সাধ্য র্তাহাকে স্থান বিশেষে আবদ্ধ করিয়া রাখে ? পূর্ববঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজের কাৰ্য্যনিৰ্বাহকসভা তাহার অবসর গ্ৰহণ কালে নিম্নলিখিত প্ৰস্তাব নিৰ্দ্ধারণ করিয়া তৎপ্ৰতি গভীর শ্রদ্ধা ও অনুরাগের পরিচয় দিয়াছিলেন ;- “তিনি আচাৰ্য্য নিযুক্ত থাকাতে গত দুই বৎসর কাল এখানকার সমাজের। কাৰ্য্য। এমত উৎকৃষ্টরূপে সম্পাদিত হইয়াছিল যে তাহা সভ্য মাত্ৰেই বিশেষরূপে হৃদয়ঙ্গম করিয়াছেন । দুঃখের বিষয় যে র্তাহার স্থান গ্ৰহণ করেন। এমত লোক এখানে দেখা যাইতেছে না ।” - এই সময়ে পূর্ববঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজ-মন্দিরে যে সমস্ত উপদেশ প্রদত্ত হয়। উহার কতকগুলি তত্ত্বকৌমুদীতে প্ৰকাশিত হইয়াছিল। উহা পাঠ করিলে তঁাহার গভীর ধৰ্ম্মভাব, ঈশ্বরে অবিচলিত বিশ্বাস এবং তীব্র ব্যাকুলতার আভাস পাওয়া যায়। র্তাহার উপদেশে লোকের মন এতদূর আকৃষ্ট হইত। যে মন্দিরে স্থান সংকুলান হইত না। হিন্দু, মুসলমান, ব্ৰাহ্ম, খৃষ্টান এবং নানা শ্রেণীর সাধারণ লোকদিগকেও র্তাহার উপাসনায় আগ্রহের সহিত উপস্থিত হইতে দেখা যাইত। কেহ কেহ এরূপ বলিতেন যে ;-“গোসাই যেরূপ ব্যাকুলতার সহিত উপাসনা করেন এমন কাহারও মুখে শুনিতে পাওয়া যায় না।” তঁহার গৃহেও দলে দলে ধৰ্ম্মাখীগণ একত্ৰ হইতেন। মক্ষিকদল যেমন মধুর লোভে একত্র হয় তেমনি না জানি কি মধুর স্বাদে বিভোর হইয়া নরনারীগণ সংসারের প্রবল বাসনা তুচ্ছ করিয়া তাহার সংসর্গে আসিয়া জুটিত । র্যাহারা ধৰ্ম্মজীবনের মধুরতা কিঞ্চিৎ অনুভব করিয়াছেন