পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন্ধু-গ্ৰীতি। ミ>み উপাসনার জন্য র্তাহার গৃহে গমন করিয়াছিলাম। আমরা উপাসনার প্রাস আসিয়াছি শুনিয়া দত্ত মহাশয় বলিলেন ;-“শিশুর আত্মা নাই, তাহার জন্য আবার প্রার্থনা কি ? যত দিন আত্ম-জ্ঞান না হয় তত দিন অসু। থাকে না।” এইরূপ মত শুনিয়া গোস্বামী মহাশয় দুঃখিত হইলেন। দত্ত মহাশয় অন্য একদিন কথায় কথায় বলিয়াছিলেন ;—“ঈশ্বর অষ্ট। নহেন, নিৰ্ম্মাতা।” গোস্বামী মহাশয় ইহাতে আরও দুঃখিত হ ই: বন্ধুকে নানা অদ্ভুত মতের সমর্থনকারী জ্ঞানে নাস্তিক, অবিশ্বাসী বুলি গা তিরস্কার করেন। ইহার পর একজন তাহাকে বুঝাইয়া, দেন যে তিনি কালীনাথ বাবুকে যেরূপ তিরস্কার করিয়াছেন, বস্তুতঃ তিনি সেরূপ তিরস্কারের যোগ্য নহেন। ইহাতে গোসাইজীর মনে অনুতাপ জন্মে। বন্ধুর মনে যে ক্লেশ দিয়াছেন তাহার শতগুণ ক্লেশ তাহার মনকে দ গাদ করিতে থাকে । এমন কি রাজনীতে র্তাহার নিদ্রার ব্যাঘাত উপষ্টি ত হয়। অবশেষে রাত্ৰি তিনটার সময় তিনি আর স্থির থাকিতে পাগিলেন না, শয্যা হইতে উঠিয়া কালীনাথ বাবুর গৃহে গিয়া দরজা না আঘাত করিতে লাগিলেন। এত, রাত্ৰিতে কেন আসিয়াছেন এ কাজ । জিজ্ঞাসা করিলে তিনি কালীনাথ বাবুর সঙ্গে সাক্ষাতের অভিপ্ৰা. । জানাইলেন। কালীনাথ বাবু পার্শ্বের একটী প্রকোষ্ঠে নিদ্রিত ছিলেন, তিনি স্বর শুনিয়া তাড়াতাড়ি উঠিলেন। এ দিকে গোসাইজী দলে ঢুকিয়া একেবারে বন্ধুর পী জড়াইয়া ধরিলেন এবং ব্যাকুল ভাবে কাদিতে কঁাদিতে ক্ষমা চাহিতে লাগিলেন । কালীনাথ বাবু বলিলেন ‘আমি তা তখনই তাহা ভুলিয়া গিয়াছি, এ জন্য এত কেন ? কিন্তু তিনি কিছুতেই পা ছাড়িলেন না। অবশেষে যখন বলিলেন ‘ক্ষম। করিলাম” তখন স্থির হইলেন। বন্ধুর প্রাণে ক্লেশ দিয়াছি মনে করিয়া র্তাহার এতই অনুতাপ জন্মিয়াছিল । ।