পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፲፱” মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । নাই। বলিতে কি বঙ্গািদশের সকল প্রকার পরিবর্তন ও উন্নতির মূলে সাক্ষাৎ ও পরোক্ষভাবে এই ব্ৰাহ্মসমাজের প্রভাব বর্তমান রহিয়াছে । মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশের পূর্বে উক্ত সমাজের অবস্থা এরূপ ছিল যে যাহারা উক্ত সমাজের পরিচালক ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাহারাও উহার সঙ্গে কেবল বাহ সম্পর্ক রাখিয়াছিলেন। তাহারা সপ্তাহের পর সপ্তাহ উপদেশ শুনিতেন, কিন্তু উপদেশানুরূপ আচরণ করিতেন না । মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ব্ৰাহ্মসমাজে প্ৰবেশ করিয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের ব্ৰত-গ্ৰহণ পদ্ধতির প্রতিষ্ঠা করিলেন ; সঙ্গে সঙ্গে ব্ৰাহ্মসমাজের নব-জীবন লাভ হইল। যে সময় ব্রাহ্মসমাজের নবজীবনের আরম্ভ হইল, এবং জ্ঞানে ধৰ্ম্মে সমগ্র দেশের উন্নতির সূচনা হইল সে সময় দেশের পক্ষে স্মরণীয় সন্দেহ কি ? মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণের সঙ্গে ব্ৰাহ্মসমাজের, এবং ব্ৰাহ্মসমাজের পিতৃসম মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথের কি সম্পর্ক পাঠক যথাস্থলে তাহার পরিচয় পাইবেন । এ স্থলে সংক্ষেপে এইমাত্ৰ বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে যৌবনারম্ভে যখন নবীন উৎসাহ উদ্যমে তাঁহার হৃদয় পরিপূর্ণ হইয়াছিল তদবধি ব্ৰাহ্মসমাজের সঙ্গে তঁহার অচ্ছেদ্য যোগ নিবদ্ধ হয় । আর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ এই যোগের প্রথম এবং প্রধান সহায় হইয়াছিলেন। মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথের ব্ৰাহ্মসমাজে জন্মগ্রহণ, আর বিজয়কৃষ্ণের পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ সমসাময়িক হওয়াতে যেন ইহাই সুচিত হইয়াছে যে বিচিত্ৰকৰ্ম্ম বিধাতা এই দুই ক্ষণজন্ম পুরুষকে একই কাৰ্য্যক্ষেত্রে সম্মিলিত । করিবারই পূৰ্ব্বায়োজন করিয়াছেন। বিজয়কৃষ্ণের মাতুল গৌরীপ্ৰসাদ জোদার একজন পরোপকারী সহৃদয় লোক ছিলুেন। ইনি একজন বিপন্ন লোকের জামিন হইয়া তাহাঁকে টাকার দায় হইতে রক্ষা করেন। কিন্তু লোকটী সময়কালে পলায়ন করে। ইহাতে জোদার মহাশয়ের দ্রব্যাদি নিলামে ক্রোক