পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীব্ৰ ব্যাকুলতা। 文文金” গতি হইত ? সংসারে র্যাহারা বন্ধু ছিলেন যদি আমি তঁহাদের মুখের দিকেই চাহিয়া থাকিতাম। তবেই বা আমার কি গতি হইত ? না, না, সংসারের কেহই আমার সঙ্গী নয়। সেই এক পরম সুহৃদই আমার নিত্য সহায়।” এই বলিয়া তিনি সেই একের সন্ধানে সমগ্ৰ হৃদয় মন নিয়োজিত করিলেন । ইহার ফল। এই হইল যে, প্ৰবল বারিরাশি যেমন সম্মুখের সমস্ত বাধা অতিক্রম করিয়া নিম্নাভিমুখে গমন করে, সমুদ্রে পতিত না হওয়া পৰ্য্যন্ত স্থির হয় না, তদ্রুপ তীব্র ব্যাকুলত সমস্ত বাধা অতিক্রম করিয়া তঁহাকে লইয়া সেই মহা সিন্ধুপানে ছুটিয়া চলিল ; তাহার গভীর প্ৰেম-সমুদ্রে নিমজ্জিত না হওয়া পৰ্য্যন্ত তঁহাকে সুস্তির হইতে দিল না। পুর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে সাধু সন্ন্যাসী এবং উদাসীনের প্রতি তাহার অত্যন্ত শ্রদ্ধা ছিল। এই শ্রদ্ধার বশবৰ্ত্তী হইয়া তিনি যখন যে সাধুর দর্শন পাইতেন। তঁহার সঙ্গে মিশিতেন । এই প্রকারে সহস্ৰ সহস্ৰ সাধুর সঙ্গে তাহার পরিচয় হইয়াছিল। কিন্তু তঁহাদের কেহ তাহাকে দলভুক্ত করিতে সমর্থ হন নাই । তঁহাদের নিকট যতটুকু শিক্ষালাভ করিবার তিনি কেবল তাহাই করিতেন । তিনি বলিয়াছেন ;— “ঐ সকল সাধুর মধ্যে অতি অল্প লোক প্রকৃত ধৰ্ম্মাখী, অনেকেই ইন্দ্ৰত্ব, দেবত্ব, অথবা অপরবিধ ঐশ্বৰ্য্য লাভের জন্য লালায়িত রহিয়াছেন।” উদ্দেশ্য সাধনাৰ্থে তিনি যোগী, সাধু, সন্ন্যাসী, ফকির, উদাসীন ইত্যাদি। ধৰ্ম্মসাধকগণের সহিত কতই না ধৰ্ম্মপ্রসঙ্গ করিয়াছেন ; এবং বিভিন্ন দলের সাধকগণের পরামর্শে বেদ, বাইবেল, কোরাণ, জেন্দাভেস্তা প্ৰভৃতি পুস্তকাদির অধ্যয়ন ; ও আসন শুদ্ধি, ভূতশুদ্ধি, প্ৰাণায়াম ইত্যাদি যোগের কতই না প্রক্রিয়া অভ্যাস করিয়াছেন ; কিন্তু তাহাতেও তঁাহার। আশা চরিতার্থ হয় নাই । এই সময়ের অবস্থার উল্লেখ করিতে গিয়া তিনি । বলিয়াছেন ;- Sc