পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&&o মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । বাবাজি তাহার কাতরোক্তিতে বিস্মিত হইলেন এবং পিঠ চাপড়াইয়া সাত্মনা বাক্যে বলিলেন ;—“স্থির হও, স্থির হও ; অমি cङॉर्मंद्र aख्ठ ব্যাকুলাত্মা আর দেখি নাই। তোমার যদি ধৰ্ম্ম না হয় তবে আর কাহার হইবে ? তোমার নিশ্চয়ই ভক্তি লাভ হইবে, তুমি নিশ্চয়ই ধৰ্ম্মলাভ, করিবে।” আমরা বাবাজির জন্য কিছু চ’ল ড।’ল সঙ্গে লইয়াছিলাম, উহ। তাহাকে দেওয়া হইল ; তিনি আমাদিগকে বিশ্রামার্থে উপবেশন করাইয়া রন্ধনে প্ৰবৃত্ত হইলেন । বিশ্রামের পর অদূরস্থ নিৰ্ব্বরের নিৰ্ম্মল বারিতে স্নান করিয়া আমাদের সমস্ত ক্লাস্তি দূর হইল ; এবং চতুর্দিকের পাৰ্ব্বত্যশোভা দর্শনে আমাদের মন পরমেশ্বরের অৰ্চনার জন্য আকুল হইয়া উঠিল। গোস্বামী মহাশয় উপাসনা করিলেন । ইতিমধ্যে রন্ধনাদি সম্পন্ন হইলে আমরা আহারার্থে আহুত হইলাম ; এবং জননী যেমন স্বয়ং অভুক্ত থাকিয়া পরম যত্নে সন্তানের পরিবেশন করেন, বাবাজিও তেমনি আমাদিগকে পরিবেশন করিয়া পরিতোষ পূর্বক খাওয়াইলেন। ইহার পর অভুক্তদের আহবানার্থে শঙ্খধ্বনি হইলে অন্যান্য অভুক্ত— যাহারা নিয়মিতরূপে সেই আশ্রমে অন্ন পাইত তাহারা--আসিয়া উপবেশন করিল । বাবাজি সকলকে আহার করাইরা পরে স্বয়ং আহার করিলেন । র্তাহার আশ্রমের এই নিয়ম ও ব্যবস্থা দেখিয়া মনে হইল। পরমেশ্বর স্বয়ং এই নিৰ্জন অরণ্যে তৃষ্ণাৰ্ত্তদের জন্য সুশীতল বারি এবং ক্ষুধিতদিগের জন্য অন্নািচ্ছত্ৰ খুলিয়া তাহার সদাব্রত রক্ষা করিতেছেন। ধন্য তঁহার করুণ । আহার ও বিশ্রামান্তে বাবাজির সঙ্গে গোস্বামী মহাশয়ের ধৰ্ম্ম বিষয়ে অনেক কথাবাৰ্ত্ত হইল । অপরাহ্নে আমরা তঁহার পরামর্শে ব্ৰহ্মযোনী পাহাড়ে সাধু দর্শনে গমন করিলাম। এক সাধু ইহাকে