পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্ম বন্ধুদিগের প্রতি নিবেদন । SVG জডীয় রূপ নাই। তিনি সকলের স্রষ্টা, কোন স্পষ্টবস্তুর মত নহেন ; তিনি স্বতন্ত্র, কাহারও সহিত তাহার তুলনা হয় না। তিনি একমাত্ৰ অদ্বিতীয়, জগতে দুই জন ঈশ্বর নাই, তিন জনও নাই ; অথবা অনেক ঈশ্বর নাই। যে কোন মনুষ্য জগদীশ্বর বলিয়া যে কোন নামে তাহাকে ডাকে সেই অদ্বিতীয় পরমেশ্বরকে ডাকে । আর দ্বিতীয় যখন নাই তখন অন্য ঈশ্বর কোথা হইতে আসিবে ? পরমেশ্বরের কোন নিদিষ্ট নাম নাই। নানাদেশের লোকে আপন আপন ভাষায় তঁহাকে এক একটী নাম করিয়া ডাকিয়া থাকে। সৃষ্টিকৰ্ত্তাকে লক্ষ্য করিয়া তুমি ব্ৰহ্ম বল, আল্লা বল, খোদা বল, হরি বল, রাম বল, কৃষ্ণ বল, কালী বল, দুৰ্গা বল। তাহাতে কিছুমাত্ৰ ক্ষতি নাই । কেহ কেহ বলেন, লোকের মনে ভ্ৰান্তি জন্মাইতে পারে। একথাও ঠিক নহে । কারণ হরি শব্দে সিংহ, অশ্ব, বানর, এবং পাপ-হরণকর্তা পরমেশ্বর, এই সমস্তগুলি বুঝাইয়া থাকে। কেহ যদি ভগবানকে লক্ষ্য করিয়া হরি বলিয়া গদগদ ভাবে ডাকিতে ডাকিতে অশ্রুপাত করে তখন এমন লোক কেহ নাই যে বলিবে এ লোকটা বানর প্রভৃতি পশু গুলাকে ডাকিয়া কাদিতেছে। বিশেষতঃ মানুষ্যের ভ্রম হইলেই বা ক্ষতি কি ? আমাদের উদ্ধার কর্তা মনুস্য নহেন। আমার দেবতা অন্তৰ্যামী, তিনি জানিলেই হইবে । তুমি যে নামে ভগবানকে লাভ কর, সেই নাম তোমার পক্ষে শ্রেষ্ঠ । অন্যে যে নামেই ডাকুক তাহাতে আপত্তি কি ? পূর্বেই বলিয়াছি যে ঈশ্বরের জড়ীয় রূপ নাই। এজন্য তঁহাকে নিরাকার বলি। কিন্তু তঁাহার নিরাকার সচিদানন্দ রূপ আছে। যাহা জ্ঞানচক্ষে দর্শন করা যায় । যেমন জ্ঞান-চক্ষু আছে, সেইরূপ জ্ঞান-কর্ণ আছে, জ্ঞান-নাসিকা, জ্ঞান-রসন ইত্যাদি আছে, যাহাতে