পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ryo, মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । কথায়, তাহাকে লাভ করিয়া নিয়তই তাহার সত্তাসাগরে নিমগ্ন থাকিয়া সমস্ত কৰ্ম্ম করা ও জীবন যাপন করাই ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের আদর্শ। ( ১ ) এইরূপ ব্ৰহ্মলাভ কেবল মানুষের নিজের চেষ্টায় বা সাধনে হয় না। সম্পূর্ণ র্তাহার রূপার উপর নির্ভর করিয়া যথাসাধ্য সাধন ভজন করিলে যথাসময়ে সেই অবস্থা প্ৰাণে অবতীর্ণ হয় । এই জন্য র্তাহার চরণেই আমার ধৰ্ম্মজীবনের সমস্ত ভার সমর্পণ করিয়া, তঁহারই প্ৰদৰ্শিত যোগসাধন পথ অবলম্বনে গত কয়েক বৎসর চলিয়া আসিতেছি। পরমহংস বা বাজির উপদেশানুসারে যোগ পিপাসু ব্যক্তি গণের মঙ্গলার্থে উক্ত সাধনপথ তাহাদিগকে উপদেশ করিতে আরম্ভ করিয়াছি। (২) এই সাধনে বাহিরের কিছুরই সহিত সংস্রব নাই, ইহা সম্পূর্ণ আভ্যন্তরিক আধ্যাত্মিক বস্তু। তবে কিছুদিনের জন্য ভূতশুদ্ধি কারণোদেশে অনেককে প্ৰাণায়াম করিতে হয় । কিন্তু উহা আমাদের সাধন নহে। (৩) এই জন্য সাধক-মণ্ডলীর বহিভূত লোকদিগের সম্মুখে আমরা সাধন করি না। তঁাহার। ইহার ভিতরের তত্ত্ব-কথা কিছুই বুঝিবেন না, কেবল বাহিরের প্রাণায়াম টুকু দেখিয়া সাধনের প্রতি অশ্রদ্ধা হইলে তঁহাদেরই আধ্যাত্মিক অনিষ্ট হইবার সম্ভাবনা । ( ৪ ) কোনরূপ অহঙ্কার বা অন্য পাপাচার, পাপচিন্তা, পাপকল্পনা পৰ্য্যন্ত দ্বারাও এ সাধনের বিশেষ ব্যাঘাত জন্মে । আমরা কোন সম্প্রদায় বিশেষ মানি না ; হিন্দু, পৌত্তলিক, বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত, ব্ৰাহ্মণ, শূদ্ৰ, খৃষ্টান, মুসলমান এবং ব্ৰাহ্মসমাজের লোক যে কেহ আন্তরিক ব্যাকুলতার সহিত প্ৰাগী হন। তিনিই সাধন পাইতে পারেন ; এবং সাধন করিতে থাকিলে তঁাহার সমস্ত ভ্ৰম, অজ্ঞানতা, পাপ, নীচতা ও কুসংস্কার ব্ৰহ্মকৃপায় দূর হইয়া-তিনি পবিত্ৰ হইবেন । ( ৫ ) ইহাতে গুরুবাদের লেশমাত্ৰ নাই। ঈশ্বর স্বয়ংই ইহার