পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । চরিত্রেও সঞ্চারিত হইয়ুছিল। পূৰ্বপুরুষগণের ভক্তি-পুত শোণিতপ্ৰবাহ মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণের দেহে বিদ্যমান থাকায়, আর তপস্যা-নিরত হরিভক্তিপরায়ণ, অধ্যাপকের শিক্ষাধীনে এবং সংসর্গে বাস করায়, তপস্যার প্রভাব ও হরিনামের মাহাত্ম্য যে তঁহার চরিত্রে মুদ্রিত হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই । জ্ঞানিগণ বলিয়াছেন ঃ-“মানবের পক্ষে শিক্ষা, সংসৰ্গ, এবং বংশের প্রভাব অতিক্রম করা দুরূহ।” কিন্তু উহার প্ৰত্যেকটিী বিজয়কৃষ্ণের চরিত্রে ভক্তিবিকাশের অনুকুল হইয়াছিল । সকল প্ৰকার অনুকূলতা যেন তাহার। ভক্তি-পুস্পকে ফুটাইয়া তুলিতেছিল ; অথবা বিধাতা মানব-মণ্ডলীকে অহেতুকী-ভক্তি শিক্ষা দিবার জন্যই এই স্বভাব-শিশুকে অপার্থিব ভক্তি-ভুষণে অলঙ্কত করিয়া হরিনাম-মুখরিত পুণ্য-ভূমি শান্তিপুরে প্রেরণ করিয়াছিলেন । বালক বিজয়কৃষ্ণ পাঠশালার শিক্ষা সমাপ্ত করিয়া শান্তিপুরের গোবিন্দচন্দ্ৰ গোস্বামীর টোলে প্ৰবেশ করেন । টোলে প্ৰথমে ব্যাকরণ শিখিতে হয়। ব্যাকরণে বুৎপত্তি হইলে পরে সাহিত্য পুড়া আরম্ভ হয়। ব্যাকরণে “” পারদর্শিতা লাভের জন্য তিনি মুগ্ধবোধ পড়িতে আরম্ভ করিলেন ; এবং অল্প দিন মধ্যেই একজন উৎকৃষ্ট ছাত্ৰ বলিয়া পরিগণিত হইলেন । বল্যে কৌলিক প্রথানুসারে তঁাহার উপনয়ন ও দীক্ষা হয় । প্ৰচলিত হিন্দুধৰ্ম্মের প্রতি তখন তঁাহার প্রগাঢ় বিশ্বাস ছিল । নিষ্ঠাবান ও আনুষ্ঠানিক হিন্দুর যে যে লক্ষণ থাকা উচিত, সে সমস্তই তেঁাহাতে বর্তমান ছিল । এজন্য শান্তিপুরের আবাল-বৃদ্ধবনিতা তাহাকে অত্যন্ত প্রীতির চক্ষে দর্শন করিত । তিনি প্ৰতিদিন নিষ্ঠা ও ভক্তির সহিত সন্ধ্য আঁৰ্চনাদি করিতেন এবং আবশ্যক সময়ে শিস্যবাড়ী গমন করিয়া তাহাদিগকে মন্ত্র দিতেন ।