পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&& মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । fo ! ব্ৰাহ্মসমাজের নিকট হয়ত এখনও এমন অনেকগুলি সত্য অপ্ৰকাশিত রহিয়াছে যাহা সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর মধ্যে ব্ৰাহ্ম সাৰ্থকের জীবনের মূল হইয়া দাড়াইবে। আর আমি যে পথে চলিতেছি, তাহা ঋষি-প্ৰবৰ্ত্তিত পথ ; আতি পুরাকাল হইতে তদাবলম্বনে অনেক মহাপুরুষ কৃতাৰ্থতা লাভ করিয়া গিয়াছেন। আপনার ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম ব্যাখ্যান গ্রন্থেও তাহার অনেক আভাস পাওয়া যায় । “হৃদ মনীষা মনসাভি ক্লপ্ত” এই শ্লোক শিরোধাৰ্য্য করিয়া আমি বিশ্বাস করি এবং ধ্রুব সত্য বলিয়া জানি যে নিঃসংশয় বুদ্ধিযোগে মনন করিলে 'ব্ৰহ্ম প্ৰকাশ ও লাভ হয় ; কিন্তু বুদ্ধির অসংশয়তা লাভ অনায়াস সাধ্য নয় । তাহার জন্য উপায় অবলম্বন করিতে হইবে। যদি তাহা না হয়, তবে ধৰ্ম্ম প্রচারের ও উপদেশের আবশ্যকতা থাকে না । মনের সেই উন্নত অবস্থা লাভের জন্য বিবিধ উপায় থাকিতে পারে ; যিনি যাহাতে ফল লাভ করেন, তিনি তাহ অবলম্বন করুন। আমি এমন কথা বলি না যে আমার প্রণালী ভিন্ন অন্য প্ৰণালী নাই । কিন্তু যে উপায় আমার ব্ৰহ্মযোগ লাভের পক্ষে আমাকে সহায়তা করিয়াছে ও করিবে, তাহা আমার প্রাণের বস্তু, অতি আদরের ধন ; সে ধনের মৰ্য্যাদা বুঝিতে পারি। আমাকে এই আশীৰ্ব্বাদ করুন। ধৰ্ম্মসাধনের উপায় সম্বন্ধে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্রন্থেই এইরূপ উপদেশ দেখিতে পাই ;—“তদ্বিজ্ঞানাৰ্থং স গুরুমেবাভি গাচ্ছেৎ । তস্মৈ স বিদ্বানুপসন্নায় সম্যক প্রশান্তচিত্তায় শমান্বিতায় যেনাক্ষরং পুরুষং বেদ সত্যং প্রোবাচ তাং তত্ত্বতে ব্ৰহ্মবিদ্যাম।” ইহাতে স্পষ্টই দেখা যায় যে সদগুরু সন্নিধানে উপস্থিত হইয়া ধৰ্ম্মোপদেশ গ্ৰহণ করিতেই হইবে । পৌত্তলিক ধৰ্ম্মবিশ্বাসী লোকদিগকে গ্ৰহণ করা সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছেন তৎসম্বন্ধে আমার বক্তব্য এই যে ব্ৰাহ্মসমাজে