পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শক্তি লাভ। 8ሕsዓ**' চরণে পতিত হইয়া ধৰ্ম্মার্থী হওয়া যেরূপ মনোহর দৃশ্য এমন আর কি আছে ? শক্তিলাভ সম্বন্ধে তিনি বলিতেন ; —“লোকে শক্তি শক্তি করে, শক্তি লাভ আতি তুচ্ছ বিষয়। র্যাহারা ঈশ্বরকে চান এবং সেই দিকে অগ্রসর হইতে থাকেন, তাহদের পাছে পাছে শক্তি সকল আসিতে থাকে । কিন্তু তঁাহারা ঘুণ করিয়া তাহদের প্রতি এক বারও দৃষ্টি করেন না। লোকেরা কোন কাজ করে না, অথচ শক্তি চায়। তোমরা এক বৎসর বীৰ্য্যরক্ষা কর, এবং মিথ্যা কথা বলিও না, মিথ্যা কল্পনা করিও না, আমি নিশ্চয় বলিতেছি তোমাদের বাক্য সিদ্ধি হইবে ।’ * একবার কলিকাতায় শিষ্যমণ্ডলীসহ গোস্বামী মহাশয় বসিয়া আছেন, এমন সময়ে এক জনের অঙ্গুলিতে ( ইনি শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের জ্ঞাতি ভাইপো এবং গোসাইজীর শিস্য ও একজন পণ্ডিত লোক ) বৃশ্চিকে দংশন করে, তিনি যাতনায় অত্যন্ত অধীর হইয়া পড়েন । গোসাইজী তাহাকে নিকটে আহবান করিয়া দষ্ট অঙ্গুলি ধরিবামাত্র তাহার সমস্ত যাতনার অবসান হইল, তিনি বলিলেন, “আঃ বাচিলাম’ ৷ + একবার তিনি রামপুরহাটের উৎসবে গিয়াছিলেন । এসময় শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্র বাবু মেদিনীপুরে ছিলেন। রামপুরহাটের ব্ৰাহ্মগণ পুনঃ পুনঃ বলিতেছিলেন ;—“আপনার শরীর অসুস্থ নগেন্দ্ৰ বাবু আসিলে ভাল হয় ।” তঁাহারা নগেন্দ্ৰ বাবুকে আসিবার জন্য অনুরোধ করিয়া পত্র লিখিলেন, কিন্তু তিনি নানা কারণে আসিতে অসমর্থ ইহাই । জানাইলেন । শুনিয়া গোসাইজী বলিলেন, “তিনি নিশ্চয়ই আসিবেন ।”

  • নব্য ভারত। ণ শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। কথিত । ]