পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । একত্ৰ হইয়া ক্ৰন্দন করিলেই ভগবান প্ৰকাশিত হইয়া রাসা করিয়া থাকেন। তখন শিষ্য গুরুকে কৃষ্ণের বামে দর্শন করিয়া সুখী, গুরু "শিস্যকে ভগবানের বামে দর্শন করিয়া সুখী হইয়া থাকেন।” 1. একবার তিনি থৈপাড়া ( কলিকাতার নিকটস্থ ) গিয়াছিলেন । কি দেখিয়া যেন তাহার ভাব-সিন্ধু উথলিয়া উঠিল, অশ্রুতে র্তাহার গণ্ডদ্বয় ভাসিয়া যাইতে লাগিল । তিনি আকাশের দিকে মুখ করিয়া মুদ্রিতনেত্ৰে বসিয়া রহিলেন । ভাবের আবেশ দূর হইলে বলিলেন ;—— “আজ দেখিলাম, মহাপুরুষগণ দেশের দুরবস্থা দর্শনে ব্যথিত হইয়া দেশের কল্যাণ জন্য ভগবানের নিকট বিশেষ প্রার্থনা করিতেছেন । এই দলে মহাপ্ৰভুই অগ্রগণ্য। আজ ভগবানের বিশেষ প্ৰকাশ হইয়াছে, এরূপ প্ৰকাশ আমি পূৰ্ব্বে কখনও দেখি নাই । ভগবানের প্ৰকাশে নক্ষত্ৰ সকল উজ্জল, পৰ্ব্বত সকল কম্পিত ও সমুদ্র উদ্বেলিত হইয়াছে। র্যাহারা উপস্থিত ছিলেন। তঁহাদের কেহ নৃত্য করিলেন, কেহ উচ্চৈঃস্বরে ভগবানের স্তব করিলেন, বাণী হইল শাস্ত্ৰ দেশের দুৰ্গতি দূর হইবে।” তিনি দেশের জন্য কত ভাবিতেন এতদ্বারা তাহার কিঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যাইতে পারে । অপর একদিন কথা প্রসঙ্গে বলিয়াছিলেন ;—“হিমালয়ে এক সাধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলাপ হইলে প্রশ্ন করিয়াছিলাম ;-“এ দেশ দিন দিন সকল বিষয়ে হীন হইয়া যাইতেছে, কি উপায়ে ইহার কল্যাণ হইতে পারে ?” সাধু উত্তর করিলেন ;-“কেবল বীৰ্য্য রক্ষা ও সত্য বাক্য বলিলেই এ দেশের সৰ্ব্বাঙ্গীন কল্যাণ হইতে পারে।” অপর একদিন কথাপ্রসঙ্গে দার্শনিক পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত ব্ৰজেন্দ্ৰনাথ শীল মহাশয়কে বলিয়াছিলেন ;- “আমাদের দেশে যাহারা শিক্ষকতা করেন