পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిషతి মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । জীবন মন উৎসর্গ করিয়াছিলেন, মৌনব্ৰত গ্ৰহণ করিলে তঁাহার স্মরণ মননে আরও অধিক সময় ব্যয় করিতে পরিবেন তযুদ্দেশ্যে এই ব্ৰত গ্ৰহণ করিলেন । মৌনাবস্থায় একদিন কাহারও প্রশ্নে হঠাৎ কথা বলিয়াছিলেন । ইহাতে অনুতপ্ত হইয়া নিজের হাতে নিজের পায়ের কাষ্ঠপাদুকা ( খড়ম ) দ্বারা সজোরে নিজের পৃষ্ঠে আঘাত করিতে করিতে সম্মুখস্থ শিষ্যগণকে বলিয়াছিলেন ;---“তোমরা আমার বন্ধুর কাৰ্য্য করিলে কই ?” এইরূপ প্রখর আত্মদৃষ্টি তঁাহার। সৰ্ব্বদা ছিল, নিজকে কখনও ক্ষমা করিতেন না । যে নিয়ম গ্ৰহণ করিতেন। ভ্রমবশতঃ তাহার একচুল এদিক ওদিক হইলে কঠোর দণ্ড ভোগ করিয়া, প্ৰায়শ্চিত্ত করিতেন। প্ৰায় দুই বৎসর কাল তিনি মৌনী ছিলেন, এই সময় কেহ কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলে লিখিয়া উত্তর দিতেন । পরবৎসর বৈশাখ মাসে ( ১৩০০ সন ) তিনি পুনরায় কলিকাতা গমন করেন। কলিকাতার সুকিয়াষ্ট্রীটের বাড়ীতে এক দিন মনোহর দাস নামক এক জন বৈষ্ণব রাস্তায়ু দাড়াইয়া মধুর কণ্ঠে গান করিতে ছিলেন । গোসাইজী দোতালার বারাণ্ডায় দাড়াইয়া গান শুনিতে শুনিতে ভাবে বিভোর হইলেন ; এবং গায়ের ফ্ল্যানেলের চাদর আলখেল্লা গায়ক কে দান করিলেন । একটী সাধারণ চাদরগায়ে র্তাহার দুই দিন কাটিয়া গেল। পরে একজন অনুরাগী শিস্য একখানা ফুনেলের চাদর কিনিয়া আনিয়া তঁহাকে দিলেন। তিনি চাদর গায়ে দিয়াছেন ইতিমধ্যে অপর দুইজন লোক কথাপ্রসঙ্গে বলিলেন - “আপনি আর কতদিন এই চাদর রাখিবেন, কাহাকেও দিয়া ফেলিবেন —ইত্যাদি।” শুনিয়া গোস্বামী মহাশয় চাদর ছুড়িয়া ফেলিয়া দিলেন এবং লিখিলেন ;-—“সম্পূর্ণ স্বত্বত্যাগ দান। যাহাকে দিবে সে অগ্নিতে দগ্ধ করিলেও দাতা কিছু বলিতে পারেন না । কারণ তখন সে বস্তু