পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতায় অবস্থান । அத்' এখনই যাই ।” এই বলিয়া পলায়ন করিলেন এবং পুনরায় নির্জনে গিয়া গভীর সাধনায় নিযুক্ত হইলেন । এই গল্পটী বলিয়া বলিলেন -- “অর্থসঙ্গ সাধুতার পক্ষে হলাহল ।” কোন অবস্থাতেই যে মানুষের পতন অসন্তব নয়, গল্পটীতে তােহ। ব্যক্তি ত ইয়াছে ; অহঙ্কারী মানুষকে সতর্ক করিবার পক্ষে ইহা একটি সারগর্ভ উপদেশ । সীতারাম ঘোষের ষ্ট্রীটের বাসায় একদিন মুসলমান ফকির সা সাহেব তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে আসিয়া একটী পেয়ারার একাদ্ধ নিজে দাতে কামড়াইয়া খাইয়া অপরাদ্ধ তীহাকে খাইতে দিয়াছিলেন। তিনি ঐ সাধুর প্ৰেমাদর্শনে মুগ্ধ হইলেন, এবং তাহার হুনয়নে প্ৰেমাশ্রিফ পাত হইতে লাগিল । তিনি সাধুর প্রদত্ত খাদ্য ভক্ষণ করিলেন, কিন্তু সাধু তাহার প্রসাদ চাহিলে আর দিলেন না । তিনি কতক দিন কলিকতা আমহাষ্ট ষ্টীটের কোন ভাড়াটিয়া বাড়ীতে অবস্থান করিয়াছিলেন । তাহার আশ্রমে প্ৰতিদিন কীৰ্ত্তন হইত ; কীৰ্ত্তন শুনিয়া রাস্তার লোক ও মুগ্ধ হইয়া দাড়াইয়া থাকিত । একদিন অপরাহ্নে কিীৰ্ত্তনের সময় দুষ্ট জন মুসলমান ফকির রাস্তা দিয়া যাইতেছিলেন ; তাহারা কীৰ্ত্তনে আকৃষ্ট হইয়া সিড়ির নিকট অপেক্ষা করিতে লাগিলেন ; কিন্তু মুসলমান বলিয়া উপরে উঠতে সাহসী হইলেন ন! । তাহদের আগ্রহ ও অনুরাগ বিদুৰ্য্যতের ন্যায় অলক্ষিতভাবে গোস্বামী মহাশয়ের হৃদয় স্পর্শ করিল। তিনি স্বয়ং নীচে নামিয়া আসিয়া ঐ দুইজন ফকিরকে আলিঙ্গন করিয়া উপরে লইয়া গেলেন। তৎপর তিনজনে মিলিয়া প্ৰমত্ত ভাবে কীৰ্ত্তন ও নৃত্য করিলেন । সুঃ তিনি ফাস্তুন মাসে সাশিষ্যে বৃন্দাবন যাত্রা করেন । শুনিয়াছি, যখন রওনা হইয়া উপর হইতে নীচে নামিলেন তখন তথায় একজন

  • ৩/বন্ধবিহারী বসু। কথিত ।

RR