পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীর্থ ভ্ৰমণ । ev8S স্তরিত করিলেও বিশ পঁচিশ বৎসর পর্যন্ত যখনই বাক্স খুলিলে তখনই গন্ধ পাইবে তদ্রুপ যেখানে কোন মহাত্মা তপস্যা করিয়া সিদ্ধিলাভ করিয়াছেন। সহস্ৰ বৎসর পরেও যদি কেহ সেইরূপ তপস্যার ভাবে শুদ্ধমানে সেইস্তানে উপবেশন করেন। তবে সেই মুহুর্তেই সিদ্ধপুরুষের কুণ্ডলিনীশক্তি তাহাকে স্পর্শ করিয়া অভিভূত কৱিবে ।” “সিদ্ধ পুরুষগণের শ্বাস প্ৰশ্বাস তথাকার সমীরণে নিয়ত প্রবাহিত হয়।” * তীর্থস্থান গুলিতে সাধারণতঃ অধিক সংখ্যক ধৰ্ম্মার্থী সাধু লোক বাস করেন। ঐ সমস্ত স্থানে তঁহাদের সাধনার ফল মৃগনভির সুগন্ধির ন্যায় বিরাজিত আছে। এজন্য তীর্থস্থানে গমন করিলে পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী সাধকগণের সাধনের ফল অন্ততঃ আংশিক প্ৰাপ্ত হওয়া যাইবে । এই বিশ্বাসে তীৰ্থস্থানে গমন করিতে তাহার বিরাম ছিল না, ভগ্নদেহ লইয়াও যাইতে ব্যস্ত হইতেন । তীর্থস্থানে গিয়া তিনি সুস্থির ভাবে বসিয়া থাকিতেন না, কোথায় কোন সাধু আছেন, কে কি ভাবে ধৰ্ম্মসাধন করিতেছেন, তাহার অনুসন্ধান করিতেন ‘; সাধুদৰ্শন, সাধুসহবাস, সাধুর সঙ্গে ধৰ্ম্মালাপে তাহার দিবসব্যামিনী অতিবাহিত হইত ; সাধুসঙ্গ লাভের বাসনাতে তিনি গয়া, কাশী, বৃন্দাবন, প্ৰয়াগ প্ৰভৃতি বহু তীর্থস্থানে বার বার গমন করিয়াছেন ; তথায় সাধুগণের সমাগমে তাহার আশ্রম তীর্থে পরিণত হইয়াছিল । কাশীতে ত্ৰৈলঙ্গস্বামীর সঙ্গে এক সময়ে তাহার কত ধৰ্ম্মালাপ হইয়াছিল ; বৃন্দাবন, প্রয়াগ ইত্যাদি বহুতীর্থ স্থানে কত সাধু মহাপুরুষের সঙ্গে তাহার গভীর আধ্যাত্মিক যোগ স্থাপিত হইয়াছিল । ধৰ্ম্ম সাধনই যাহার জীবনের ব্ৰত তাহার সঙ্গে সাধন পথের পথিকদের আধ্যাত্মিক ঘনিষ্ঠত হওয়া স্বাভাবিক ।

  • আশাবতীর উপাখ্যান ।

њ вена -“