পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিষ্টতা সাধন । v98 ch তিনি আমাকে গল্পীচ্ছলে বলিয়াছিলেন--“এক ব্যক্তি একটা দুগ্ধবতী গাভী ক্ৰয় করিয়া গৃহাভিমুখে যাত্ৰা করিয়াছিল। কিন্তু গাভীটী কিছুতেই লইয়া যাইতে সমর্থ হইতেছিল না। অবশেষে বিরক্ত হইয়। যৎপরোনাস্তি প্ৰহার করিতে করিতে লইয়া চলিল ; এবং এই ভাবে কিছুদূর অগ্রসর হইয়া এক 'পান্থশালায় উপবেশন করিয়া লোকদিগকে বলিতে লাগিল, “দেখ আমি নিতান্ত নিরুপায় হইয়া পড়িয়াছি। এখন কি উপায়ে ইহাকে গৃহে লইয়া যাই ভাবিয়া স্থির করিতে পারিতেছি না।” পান্তনিবাসী বলিল, “তুমি গোবৎসটাকে ক্ৰোড়ে লইয়া অগ্ৰে গমন কর, তাহা হইলে অতি সহজেই গাভীট পশ্চাদ নুসরণ করিবে ।” বস্তুতঃ ও তা হাই হইল। ভগবানকে লাভ করিতে হইলেও তাহার সন্তানদিগকে বুকে তুলিয়া লইতে হইবে । তাহার সন্তানদিগকে বুকে তুলিয়া লইতে পারিলে ভগবান স্বয়ং প্রকাশিত হইয়া ভক্তবাঞ্ছা পূৰ্ণ করিবেন ।’ কলিকাতায় অবস্থানকালে তােহর আশ্রমে সাধন ভজনের যে এক অমৃতপ্ৰবাহ অহনিশি চলিয়াছিল তিনি তা তাতে নিমগ্ন থাকিয়া জীবনের শেষ কয়েক বৎসর অতিবাহিত করেন । এই সময় তাহার শরীর এরূপ অসমর্থ হইয়। পড়িয়াছিল যে লাঠি ভর না দিয়া উঠিতে ও চলিতে পারিতেন না । কিন্তু এইরূপ শারীরি লইয়াও স্থির হইয়া থাকিতে পারেন নাই ; পুরী গিয়াছিলেন । তদ্বিবরণ পরে বিবৃত হইল। মিষটতচাসনাধন | বৌদ্ধশাস্ত্ৰজ্ঞ ব্ৰাহ্ম ধৰ্ম্মপ্রচারক শ্ৰীযুক্ত ব্ৰজগোপাল নিয়োগী মহাশয় বলিয়াছেন ; —“১৮৮৪ সনে গায়াতে আকাশগঙ্গা পাহাড়ে গোস্বামী মহাশয়ের সঙ্গে আমি এক বা বাজির নিকট গিয়াছিলাম । জিজ্ঞাসা করা হইল ;-উপাসনায় প্ৰবেশ করার উপায় কি ? উত্তর ২-একদিন যে