পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাধীনতা-প্ৰিয়তা । ” రికన কোনরূপ সংস্কারের অধীন ছিলেন না ; ব্ৰহ্মজ্ঞান তাহাতে উজ্জল হইয়া উঠিয়াছিল। ক্ৰমে ক্রমে তাহার শিষ্য সংখ্যার বৃদ্ধি হইয়াছিল । সম্মানিত ধনী, যশস্বী, জ্ঞানী, পণ্ডিত, মুখ, হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান, ব্ৰাহ্ম নানা সম্প্রদায়ের লোক তাহার ধৰ্ম্মভাবে আকৃষ্ট হইয়া ভঁাহার শিষ্যদলভুক্ত হইয়াছিলেন । তাহারা তাহাকে পরম আত্মীয় মনে করিতেন । একজন শিষ্য বলিয়াছেন ;- “র্তাহার সহবাসে যে আনন্দে যাপন করিতাম স্ত্রী, পুত্ৰ, পরিবার লইয়া অথবা সংসারের ধন, মান কিম্বা অপর কোন প্ৰকার সম্পদ লইয়া সেরূপ আনন্দ পাই নাই।” আনুগত শিস্যগণের অনেকে তাহার উপর জীবনের সমস্ত ভার ন্যস্ত করিয়া নিশিচন্ত হইতে ইচ্ছা করিতেন । অনেকে প্রশ্ন করিতেন ;-—“ক ন্যার বিবাহ হিন্দু সমাজে কি ব্ৰাহ্মসমাজে দিব ?” তিনি উত্তর করিতেন ;- “এ সব বিষয়ে অপরের মতের উপর নির্ভর না করিয়া নিজের মত ও রুচির উপর নির্ভর করাই ভাল।” একজন ব্ৰাহ্মশিষ্য হিন্দু ভাবাপন্ন হইয়া কন্যাদের বিবাহ কোন সমাজে দিবেন। এহি চিন্তায় বিব্রত হন । অবশেষে গোস্বামী মহাশয়কে পরামর্শ জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা করেন । তিনি তঁহার মনোগত ভাব বুঝিতে পারিয়াই বলিলেন ;--* * বাবু মেয়েদের বিবাহ কখনও হিন্দুসমাজে দিবেন না ; ব্ৰাহ্মসমাজেই দিবেন।” সামাজিক এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর তিনি তাহার কোন বিধি প্ৰয়োগ করিতেন না, কেবল সাধনের প্রতিকুল ও অনুকুল বিষয়ের উপদেশ দিতেন । এক সময়ে কোন ব্যক্তি সাধনের বিধি পালনে অনিচ্ছা প্ৰকাশ করিলে তিনি তঁাহাকে বিধি পালন না করিয়াই সাধন করিতে বলিয়াছিলেন । ঐ ব্যক্তি বলিল ;--“আমি কুঅভ্যাসও ছাড়িতে পারিব