পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। ”ཚི་ཆ་ হইল। উৎসবের পর উৎসব আসে আবার চলিয়া যায় ; “কিন্তু সেই যে “সত্যংহি, সত্যংহি, ত্বংহি, ত্বংহি” ধ্বনি শুনিয়াছি অদ্যাপি তাহা প্ৰাণের তলদেশ হইতে প্ৰতিধ্বনিত হইতেছে । তৎপর যে কারণেই হউক। তিনি ব্রাহ্মসমাজের মন্দির ছাড়িয়া স্বতন্ত্র স্থানে গমন । করিলেন, কিন্তু আমাদিগকে যেন বলিয়া গেলেন, “তোরা থাক, এ দুয়ার ছাড়িস না ।” তিনি কাহাকেও “তোরা আমার সঙ্গে আয়” বলিয়া • ডাকিলেন না। কিন্তু তবুও শত শত নরনারী তাহার মধুর কণ্ঠে বিশ্ব জনীন ধৰ্ম্মের কথা শুনিতে ছুটিয়া চলিল । দেখিতে দেখিতে আরও বহুদিন অতীত হইয়াছে, কিন্তু ঐ যে “সত্যং হি সত্যংহি, ত্বংহি, ত্বংহি” উহা যেন আজও প্ৰাণে বাজিতেছে। উদ্বোধন নাই, আরাধনা নাই, অনুতাপজনিত হাহাকার নাই, উপাসকমণ্ডলীর প্রতি অন্য উপদেশও নাই, কেবলই আশার বাণী ত্বমেব, ত্বমেব । জানি না। আবার কাবে সেই মধুর বাণী, শুনিব।” স্ত্ৰীবে দয়া | শেষ জীবনে তঁহার মস্তক দীর্ঘ জটাজালে শোভিত হইয়া ছিল । যদিও উহা যথাসাধ্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখিতেন, তবুও উকুণ জন্মিত । একবার ৬/ রজনীকান্ত ঘোষ মহাশয় গেণ্ডারিয়া আশ্রমে র্তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে গিয়া দেখিলেন তাহার, জাঁট হইতে উকুণ বাহির করিয়া এক জন শিস্য একটা শিশিতে রাখিতেছেন । ঐ শিশিতে জটের ছিন্ন অংশ তৈলাক্ত করিয়া এই উদ্দেশ্যে রাখা হইয়াছিল যেন উকুণগুলি উহাদ্বারা জীবন রক্ষা করিতে পারে। গোস্বামী মহাশয় রজনী বাবুকে দেখিয়া সহস্যে বলিলেন, ইহাও প্ৰকারান্তরে বিনাশ করা । তাড়াতাড়ি না মারিয়া ( হস্তদ্বারা যেরূপে উকুণ মারে সেইরূপ দেখাইয়া ) ধীরে ধীরে মারা । সামান্য উকুণ