পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ཆང་ར༤ অত্যন্ত ব্যথিত হন এবং অশ্রুপাত করিয়া ঈশ্বরচরণে প্ৰতিকার 'প্রার্থনা করেন। শিশু যেমন কোন অভাব উপস্থিত হইলেই কদিয়া গিয়া মাতৃচরণে উপস্থিত হয। তিনিও তেমনি প্ৰত্যেক অভাবে জগজননীর চরণে উপস্থিত হইতেন ; তঁাহার ইচ্ছাতেই হঁহার সকল অভাব পূর্ণ হইত। তাহার প্রার্থনা বিফল হইল না, আন্দোলন উঠিলে ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবের আদেশে পাযখানা ভাঙ্গিয়া দিতে হইল । পুরীতে জগন্নাথ মন্দিরের সেবা-কাৰ্য্যে সেবকদিগের নানা প্রকার উচ্ছঙ্খলতা ও অনিয়ম দেখিযা, তাহাব প্ৰাণে অত্যন্ত আঘাত লাগিয়াছিল । জগন্নাথের রথযাত্ৰ হিন্দুদিগের একটী বিশেষ উৎসব । এই রথযাত্রা দর্শন করিতে ভারতের নানাস্থান হইতে সহস্ৰ সহস্ৰ নরনারী অশেষ ক্লেশ স্বীকার কবি যাও বর্ষে বর্ষে শ্ৰীক্ষেত্রে আগমন করিয়া থাকে । কিন্তু এমন একটা প্ৰধান পর্বে ও পুবীর সেবকদিগের অশেষ উচ্ছঙ্খলতা ও অবহেল। দৃষ্ট হইয়াছিল। পাণ্ড দিগেব এইরূপ খামখেয়ালী এবং অশাস্ট্রিীয় আচরণে ব্যথিত হইয়া তিনি রথযাত্ৰা দর্শন বন্ধ করিয ছিলেন । অবশেষে তাহার প্রতিবাদ ও আন্দোলনে স্থানীয় গভর্ণমেণ্টের আদেশে নানা বিষযের সংস্কার হয় । পুরীতে অবস্থান কালে তিনি এক দিন সমুদ্রমানে গিয়। তরঙ্গের গুরুতর আঘাতে ভগ্নপদ এবং উথান-শক্তি রহিত হইয়া ' পড়িয়াছিলেন । কিন্তু ভগবৎ কৃপায় ক্ৰমে ক্রমে আরোগ্য লাভ করেন । যে সমস্ত কাৰ্য্যে পুবীতে তাহার নাম অত্যন্ত প্ৰসিদ্ধ হয় তন্মধ্যে দান একটা প্ৰধান । ভগবৎ নির্দেশে তিনি তথায় মহা দান-ছাত্ৰ খুলিয়াছিলেন। র্যাহার ইঙ্গিতানুসারে তঁহার জীবন-যন্ত্র পরিচালিত হইত, তাহার তৃপ্ত্যৰ্থে এবং তাহার ইঙ্গিতে এই দান আরম্ভ করেন। এজন্য দানে জাতি ও ব্যক্তির বিচার করিতেন না । তিনি এক সময়