পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। সমস্তই ব্ৰহ্মময় দর্শন করে, সৰ্ব্বত্রই ব্ৰহ্মস্ফৰ্ত্তি হয়, দ্বিতীয় অবস্থায় Aমানুষ কোন অনিৰ্ব্বচনীয় শক্তিদ্বারা চালিত হইতে থাকে, প্ৰত্যেক অঙ্গ *প্রত্যঙ্গ সেই শক্তিতে ব্যাপ্ত ও তন্দ্বারা চালিত হইতেছে, ইহা দেখিতে পায়। ইহার পর ভগবদর্শনের অবস্থা। তখন ব্রহ্মের লীলা দৰ্শন হয়।” “প্ৰথমে ব্ৰহ্মজ্ঞান, সৰ্ব্বভূতে তঁহাকে প্রত্যক্ষ অনুভব, দ্বিতীয় অবস্থা যোগ, আত্মাতে পরমাত্মাকে প্ৰত্যক্ষ লাভ, তৃতীয় অবস্থা ভগবৎ সম্বন্ধ, পুজা, অৰ্চনা। এই অবস্থায় তাহার রূপ দৰ্শন হয়। সেই রূপ সৎ, চিৎ, আনন্দ ।”

  • জীবাত্মাণ ও পরমাত্মাণ—“ভগবান যে আমাদের হইতে দুরে আছেন তাহা নহে, তিনি সৰ্ব্বদাই আমার কাছে । সাধন দ্বারা বর্তমান পাপরাশি জ্বলিয়া গেলেই তঁাহার দর্শন লাভ করা যায়, সম্মুখে এক খানা আরসির মত প্ৰকাশিত হয়। তাহাতে সমস্ত বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড ধূলি হইতে সৌরজগৎ পৰ্য্যন্ত প্ৰত্যক্ষ হয়। মানুষের পাপপুণ্য প্ৰকাশিত হয়, গ্ৰহ উপগ্রহ সমস্ত স্পষ্টভাবে দুষ্ট্রীভূত হয়। অবশেষে রাসলীলা দর্শন হয়। তখন মনুষ্যজন্ম সফল হয় । মনুষ্য যতই কেন উন্নত হউক না একেবারে ভগবানের সহিত মিশিয়া যায় না। একটি পরমাণু যদি সমুদ্র গর্ভে সমূদ্র বারি মাপ করিবার জন্য অহঙ্কার করিয়া ডুব দেয়, এবং যদি তাহার পৃথকভাব জ্ঞান থাকে তাহা হইলে তাহার যেরূপ অবস্থা মনুষ্য-আত্মাও ভগবানের চিদানন্দ সাগরে ডুবিলে তাহার সেইরূপ অবস্থা হয়। অন্য লোকে মনে ভাবে সে ভগবানের সঙ্গে মিশিয়া গিয়াছে ; কিন্তু তখনও তাহার নিজের পার্থক্য বোধ থাকে। তখন সে ভগবানের রাসলীলা সৰ্ব্বক্ষণ দেখিতে থাকে, এবং ধন্য হয় । যখন জীবাত্মা ব্ৰহ্মানন্দ লাভ করে তখন সে মধুর সাগরে চিনির সাগরে ডুবিয়া থাকে। ইহাও কেবল কাল্পনিক কথা, কেননা সে ফুলন্দের