পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । গোস্বামীৰ নিকট লইয়া যান, কিন্তু জীবানন্দ গোস্বামী মহাশয় তাহা গ্রচার করিতে নিষেধ করেন। কারণ তিনি বলেন, যদিও ইহা দ্বারা ভক্ত বৈষ্ণবদিগের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হইবে, তথাপি ইহাদ্বারা জন সমাজের অনিষ্ট বই ইষ্ট হইবে না। সৰ্ব্বদা নাম সাধন করিত্বে থাক, সকল ভাব लौल খুলিয়া যাইবে । চৈতন্য কি খৃষ্ট প্রভৃতি ভগবানের লীলা সকল আপনা। আপনি খুলিয়। যাইবে । h সৃষ্কিন করিতে করিতে পাঁচটী অবস্থা খুলিয়া যায়। শাস্ত, দাস্য, থ্যাৎসল্য, মধুর। ধীরে ধীরে সকল অবস্থার লাভ হয়। এ সকল *ई गांठ কৱিতে হইলে প্রথম কৰ্ম্ম করিতে হয় ; গুরুর রূপায় লোভ মোহাদি, রিপুকুলের দ্বারা আক্রান্ত হইয়া বিষম পরীক্ষায় পতিত হইতে হয়। কখন কখন পরীক্ষা দ্বারা আক্রান্ত হইয়া জয় বা পরাজয় হয়। যেমন নদী কি সমুদ্র মধ্যে নাবিক একখানা ক্ষুদ্র নৌকা লইয়া অগ্রসর হইলে কখন বা উৰ্দ্ধে কখন বা নিম্নে জীবনকাল সংগ্রাম করিয়া খেলিতে থাকে । এ সকল পরীক্ষার সময় অনেকে সাধন ভজন একেবারে পরিত্যাগ করে । নানারূপ অবিশ্বাস ও আসক্তি দ্বারা আক্ৰান্ত হইয়াই এইরূপ করিয়া থাকে । * * এ সময়ে নাম উচ্চারণই কেবল উদ্ধারের পথ । * * ক্রমে পরীক্ষার মধ্যে পড়িয়া পড়িয়া নিজকে যখন একেবারে হীন জ্ঞান হইবে নিজের কিছুই ক্ষমতা নাই, এক গাছ। তৃণও নিজ শক্তিতে উত্তোলিত হয় না বলিয়া মনে হইবে তখনই উন্নতির চিহ্ন দেখা দিবে । ভক্তি তখন হইতেই বিকশিত হইতে থাকিবে। যখন মানুষ্যের এরূপ অবস্থা হয় তখন তাহার হৃদয়ে সমস্ত ভগবৎ তত্ত্ব প্রকাশ হইয়া পড়ে—ইত্যাদি ।” ዯ፡ নিরাশী-সাধনের পরে সময় সময় অত্যন্ত শুষ্কতা ও নিরাশা আইসে, ঐ সময় সাধন ভাল লাগে না । এইরূপ নিরাশা আইসে কেন ?