পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রশ্নোত্তরে উপদেশ। উত্তর ;—“দেখ এই বৰ্ত্তমান গ্ৰীষ্মকাল কেমন ভয়ানক বলিয়া বোধ হয়। * * এই গ্ৰীষ্মকালই প্রকৃতির সমস্ত শোভার মূল। : গ্ৰীষ্মকাল হয় বলিয়াই বর্ষার সুখ আমরা খুব সুন্দরীরূপে অনুভব করি। সাধনের সময়ও, ঠিক এইরূপ। শুষ্কতার বিশেষ দরকার। সাধনের সময় বিবিধাবস্থা ভোগ করিতে হয় বলিয়াই ধৰ্ম্মের এত সৌন্দৰ্য্য। * * নানা বিচিত্রাবস্থার ভিতর দিয়া যখন ধৰ্ম্মপৰ্ব্বতের উচ্চতম শৃঙ্গে উঠিবে তখনুই চিরশাস্তি। ঐ শান্তি একবার লাভ হইলে আর নষ্ট হয় না। নানাপ্রকার নিরাশা ও শুষ্কতা না আসিলে ধৰ্ম্মের এতটা শোভা হাইতি না। ধৰ্ম্মের মূল্য বুঝিবার জন্য ঐ সকল অবস্থা ভোগ করিতে হয় । , বিনয় ও আত্মগৌৰৱৰ—“সৰ্ব্বদা নিজকে হীন মনে করা উচিত নহে । একদিকে তৃণ হইতে নীচ, অন্য দিকে আমি ভগবৎ অংশ, আমার ক্ষমতার সীমা নাই, ধৰ্ম্মের সীমা নাই, পরিত্রতার সীমা নাই, ইহা বিশ্বাস করিব । এই বিশ্বাসে ধৰ্ম্মসাধন করিতে পারি । আমি যে তৃণ হইতে নীচ আমার উচ্চতা বোধ করি। লে বলিতে পারি।” • লোভচ—“যাহার যে বিষয়ে লোভ হয়, সেই বস্তুতে তার একটি আকৃতি পড়ে নাকি ? উত্তর ;—মানুষ যাহা কিছু দেখে তাহাতেই তার একটা আকৃতি পড়ে। কিন্তু সেই আকৃতি আসক্তিতেই স্থায়ী হয়। যেমন ফটোগ্রাফ রসেতেই স্থায়ী হয় । * * ফটোগ্রাফের আয়নায় যে আকৃতি পড়ে তাহার কারণ রস । আয়নাতে যে রস থাকে তাহাতেই আকৃতি বন্ধ হইয় পড়ে। সেই রূপ যে বস্তুতে আসক্তিরূপ রস থাকে, তাহাতে আকৃতি পড়িলে আর উঠে না, একেবারে বদ্ধ হইয়া পড়ে। যাঁহাদের সেই চক্ষু ফুটিয়াছে তাহারা অনায়াসে দৃষ্টিমাত্রেই ঐ ফটো, দেখিতে পায়। এই সব তত্ত্ব প্রত্যক্ষ হইলেই জানা যায়। শুনিয়া বুঝা যায়