পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&tr" মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । সম্মাসীন ছিলেন। তাহার সৌম্যমূৰ্ত্তি সতেজবাণী, ঈশ্বরের প্রতি অনুরাগ সকলই এই সরল-চিত্ত যুবকের হৃদয়কে স্পর্শ করিল। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ‘পাপীর দুৰ্দশা এবং ঈশ্বরের বিশেষ করুণা” সম্বন্ধে প্ৰাণস্পৰ্শী ভাষায় যে উপদেশ দিলেন তৎশ্রবণে র্তাহার চিত্ত আদ্ৰ হুইয়া গেল ; এবং সুৰ্য্যোদয়ে যেমন অন্ধকার বিদূরিত হয়, তেমনি সত্য প্রকাশিত হইয়া র্তাহার মনের সংশয়-অন্ধকার বিদূরিত করিয়া দিল। তখনকার ভাব ভাষায়ু সম্যক ব্যক্ত করা কঠিন। বস্তুতঃ তিনি একটা নূতন মানুষ হইয়া গৃহে আসিলেন। মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ যাহার উপদেশে ঘোর অবসাদের মধ্যে আশার আলো প্ৰাপ্ত হইলেন, তিনি বঙ্গদেশের একজন ক্ষণজন্ম মহাপুরুষ । সাধুনা ও ধ্যানপরায়ণতা দ্বারা তিনি সত্যের সাক্ষাৎকার লাভ করিয়া মহৰ্ষি অর্থাৎ মন্ত্ৰ-ভ্ৰষ্টা উপাধি প্ৰাপ্ত হন । ইহার উপদেশাবলী দৈবশক্তি প্ৰভাবে শত শত নর-নারীর নব-জীবনের সহায় হইয়াছে। বাঙ্গলা ১২৬৩ সনে (১৭৭৮শক) কতকগুলি কারণে ইহার মনে অত্যন্ত বৈরাগ্য জন্মে ; এবং উহ। তাহাকে গভীর-রূপে এই চিন্তায় নিমগ্ন করে যে, “কোথায় ছিলাম, কেন এখানে আসিলাম, আবার কোথায় যাইব ; অদ্যাপি আমার নিকটে প্ৰকাশ হইল না । অদ্যাপি এখানে থাকিয়া ব্ৰহ্মকে যতটা জানা যায় তাহ আমার জানা হইল না ; আর আমি লোকদের সঙ্গে হো হো করিয়া বেড়াইব না, বৃথা জল্পনা করিয়া আর সময় নষ্ট করিব না। একাগ্ৰ-চিত্ত হইয়া একান্তে র্তাহার জন্য কঠোর তপস্যা করিব। আমি বাড়ী হইতে চলিয়া যাইব, আর ফিরিব না।” * এই ভাব হইতে ঐ সনের ১৯শে আশ্বিন তিনি গৃহ পরিত্যাগ করেন, এবং বহুদিন হিমালয়ের নির্জন প্রদেশে অবস্থান করিয়া কঠোর তপস্যা ܣܚܒܝܒ --Hr. -r--r--r--r--r-bras derships ru ১. * মহাবির আত্মচারিত ।