পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্গত সভায় প্ৰবেশ । উৎসাহশীল স্বাধীন-চিত্ত ও বিবেক-পরায়ণ মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ”। গোস্বামী মহাশয় সঙ্গতসভায় প্রবেশ করিয়া সঙ্গীতের আলোচিত সত্যসমূহ নিৰ্ভীকভাবে ও দৃঢ়তার সহিত, জীবনে সাধন করিতে লাগিলেন, এবং এই উপায়ে তাহার প্রভূত উপকার হইল। তিনি বলিয়াছেন ঃ“সঙ্গতেই অধিকাংশ ব্রাহ্ম-ভ্রাতার সঙ্গে পরিচিত হই ।” ব্ৰাহ্ম-ভ্রাতাদের সহবাসে কি অসীম আনন্দ ভোগ করিতাম তাহী স্মরণ করিয়াও এখন হৃদয় আনন্দিত হয় । সঙ্গত এবং ব্ৰাহ্মসমাজ হইতে আসিয়াই, মনে হইত। আবার কখন সঙ্গতে গমন করিব, সমাজে গমন করিব, ব্ৰাহ্মভ্ৰাতাদের সহিত মিলিত হইব। তখন আমি প্রধান প্রধান ব্ৰাহ্মদিগের নিকট অপরিচিত” ছিলাম, এজন্য তঁহাদের বাটীতে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মানুসারে কোন অনুষ্ঠান হইলে আমাকে নিমন্ত্ৰণ করিতেন না। কিন্তু আমাকে নিমন্ত্রণ করেন নাই বলিয়া আমি অভিমান করিয়া বাসায় থাকিতে পারিতাম না। সেখানে গমন করিলে ব্ৰহ্মনাম শ্রবণ করিব, ভ্রাতাদের সহিত সম্মিলিত হইব, এই ভাবিয়া সর্বত্ৰই গমন করিয়া অপার আনন্দ সম্ভোগ করিতাম। ধৰ্ম্মজীবনের এই বাল্য-ব্যবহার জীবনে নী থাকিলে অভিমানে মন সৰ্ব্বদাই কুষ্ঠিত থাকে। ভ্ৰাতাদিগের সাহিত সরল ব্যবহার করা যায় না । তখন প্ৰত্যেক ব্ৰাহ্মকেই । জ্যেষ্ঠ-ভ্ৰাতা বলিয়া বোধ হইত। তাহদের মুখ-নিঃস্থত। সামান্য উপদেশও বহুমূল্য বোধ হইত। ভ্রাতাদের মুখশ্ৰী আনন্দ-মাখা বোধ হইত।” * বলা বাহুল্য বিনয়, শ্রদ্ধা, ধৰ্ম্মানুরাগ, অভিমানশূন্যতা ইত্যাদি যে সমস্ত সদগুণ স্বভাবতঃ তাহার চরিত্রে নিহিত ছিল, সঙ্গতে যোগ দিয়া তাহার বিশেষ বিকাশ সাধন হইয়াছিল । তিনি জ্ঞানে, গুণে, সাধুতায় নুন ছিলেন না, কিন্তু তবুও নিজকে ਬਜ਼ ਵਿਰਫ਼ ੧ । । --- - -- orna---v.