পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার। fసి হৃদয় পূর্ণ হইয়া গেল। { হারা ভূরি ভুরি পুস্তক অধ্যয়ন করিয়া বিদ্বান বলিয়া পরিগণিত হইয়াছেন, যাঁহাদের অর্থের জন্য কষ্ট পাইতে হয় না, তাহার একবার ঐ বিদ্যাবুদ্ধিহীন নিঃস্ব লোকদিগের ধৰ্ম্মবল প্ৰত্যক্ষ করিয়া শিক্ষণ করুন যে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম কেবল ধনী ও পণ্ডিতের জন্য নহে ; ইহা পৃথিবীস্থ সমুদায় মনুস্যগণের চির সম্পৰ্ত্তি । অনস্তর সেখানে একটী ব্ৰাহ্মসমাজ স্থাপন করিয়া কলিকাতায় প্রত্যাগমন করিলাম।” ইহার পর তিনি বৰ্দ্ধমান ব্রাহ্মসমাজের সাম্বাৎসরিক উৎসবে গমন করিয়া বক্তৃতাদি করেন এবং চৈত্র মাসে প্রচারার্থে পাবনা গমন করেন। তথায় ঈশ্বরের অস্তিত্ব, পরকাল, মুক্তি, ও উপাসনা বিষয়ে তাহার' তিনটী বক্তৃত হয়। র্তাহার বক্তৃতা এরূপ প্ৰাণস্পৰ্শী হইয়াছিল যে তথাকার সমস্ত শিক্ষিত গণ্য মান্য লোক উপস্থিত হইয়া আনন্দ প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। তৎপর শ্ৰীযুক্ত হরিশ চন্দ্ৰ তালাপত্রের বাড়ীতে ব্ৰাহ্মধন্মের সত্যতা ও আত্মোন্নতি বিষয়ে বক্তৃত হয়, পাবনা দেওয়ানগঞ্জ ব্ৰাহ্মসমাজে উপাসনা ও ইন্দ্ৰিয় নিগ্রহের আবশ্যকতা, বিষয়ে কত্ত্বত হয়। 'চেতলা গ্রামে দুই দিবস ঈশ্বর সহবাস ও ব্রাহ্মধৰ্ম্ম অসীম বিশ্বরাজ্যের একমাত্র ধৰ্ম্ম, *र्दिष' দুইটী বক্তৃত হয়। পাবনাতে পািনর দিবস অবস্থান করিয়া তথা হইতে কুমারখালি গমন করেন । তথায় উপাসনা ও ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের আবশ্যকতা বিষয়ে বক্তৃত হয়। তৎপর কুমারখালি হইতে শিলাইদহ গমন করিয়াঁ প্ৰধান আচাৰ্য্য মহাশয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন । তিনি তঁহাকে বলিলেন ঃ-“এখন প্ৰচণ্ড রৌদ্র, অতএব এ সময পথে পথে ভ্ৰমণ করা ভাল নয়, তুমি কলিকাতায্য গমন কর।” প্রধান আচাৰ্য্য মহাশয়ের অভিপ্ৰায় অনুসারে তিনি ১৭৮৬ শকের ১লা বৈশাখ কলিকাতা ফিরিয়া আসিলেন ।