পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! গোস্বামী মহাশয় প্রচার-ব্ৰত গ্ৰহণ করিলে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ প্রচারকের বৃত্তি নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিতে ইচ্ছুক হন। কিন্তু প্রচারের সঙ্গে। অর্থের সম্বন্ধ, এবং তৎসঙ্গে নানা প্ৰকার সাংসারিকভােব জড়িত হইলে, প্রচারের ব্যাঘাত ঘটবে ভাৰিয়া তিনি উহার ঘোর প্রতিবাদ করিলেন । “তঁহার প্রতিবাদে প্রচারকের বৃত্তি নিৰ্দ্ধারণ স্থগিত রহিল ।

  • যাহা হউক সময় অতিক্রমের সঙ্গে সঙ্গে তিনি বুঝিতে পারিলেন, মতভেদ অনিবাৰ্য্য । কিন্তু ; স্নেহময়ী জননীর অশ্রুধারা, বন্ধুগণের অকৃত্রিম অনুরাগ, প্ৰীতি, র্যাহাকে কৰ্ত্তব্যপথ হইতে বিচলিত করিতে পারে নাই, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের বিপুল ভালবাসা, এবং কোন প্রকার মতভেদও র্তাহাকে বিচলিত করিতে পারিল না । , বস্তুতঃ তিনি “মৃদু। পুষ্প-সম হইয়াও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কোন কথা যখনই শুনিয়াছেন, তখনই বজাবৎ কাঠিন্য দেখাইয়াছেন। তখন তাহার প্ৰেম-বিগলিত ছবি যেন একটী উজ্জল বজ্ৰময় মূৰ্ত্তিতে পরিণত হইত।” এই ভাবে তিনি তাহার জীবনে পরমেশ্বরের অভিপ্ৰায় বুঝিয়া ধৰ্ম্মসাধনে ব্ৰতী রহিলেন ।

এই সময়ে নবীন ব্ৰাহ্মদলের উদ্যোগে একদিকে ব্ৰাহ্মসমাজে উপাচাৰ্য্য নিয়োগ সম্বন্ধে নূতন বন্দোবস্ত হয়, অপরদিকে অসবর্ণ বিবাহাদি * কতকগুলি অগ্রসর সংস্কার আরব্ধ হওয়ায়, প্ৰাচীনগণ অত্যন্ত আশঙ্কাযুক্ত হন ; এবং ব্ৰাহ্মসমাজে প্ৰবল আন্দোলন উঠে। তখন প্ৰাচীন

  • আমরা শুনিয়াছি প্রাচীন ও নবীন দলের বিরোধের প্রধান দুইটী কারণ-উপবীত ত্যাগ ও অসবৰ্ণ বিবাহের সঙ্গে, গোস্বামী মহাশয় বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি একদিন কথাপ্রসঙ্গে বলিয়াছিলেন,-“আমি একদিন বসিয়া বসিয়া ভাবিতে ছিলাম, ব্ৰাহ্মসমাজ হইতে জাতিভেদের শৃঙ্খল দূর করিতে হইবে। কিন্তু কেবল উপবীত ত্যাগে নয়, অসবর্ণ বিবাহ না দিলে এই শৃঙ্খল মোচনের অন্য উপায় নাই। তজ্জন্য অসবর্ণ বিবাহ প্রচলনে ইচ্ছা হয়। মনে হইল, “কাৰ্য্যক্ষেত্রে অগ্রসর হইতে