পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। কলিকাত সহরতোলপাড় হইতেছে এমন সময়ে বেলাৰসানে গোস্বামী মহাশয় গৃহের ছাদে উঠিয়া কলিকাতার অবস্থা দর্শনেছু হইলেন। হঠাৎ তাহার স্মরণে পড়িল “আজ বুধবার, সমাজের উপাসনার সময় নিকটবৰ্ত্তী হইয়াছে’; তিনি কোমর বাধিয়া মন্দিরে যাইবার জন্য । প্ৰস্তুত হইলেন। " দেখিতে দেখিতে গভীর অন্ধকারে পৃথিবী আচ্ছন্ন হইয়া পড়িল। সেই দুৰ্য্যোগের ভিতরে ঘরের বাহির হইতে বন্ধুগণ তাহাকে পুর্নী পুনঃ নিষেধ করিলেন, কিন্তু তাহার প্রবল ধৰ্ম্মাকাঙ্ক্ষার নিকট কোন বাধাই কাৰ্য্যকারী হইল না । তিনি অনেক জল ভাঙ্গিয়া মন্দিরাভিমুখে যাত্ৰা করিলেন। হ্যালিডে ষ্ট্রীটে গিয়া দেখিলেন গলা জল হইয়াছে। ক্রমে আরও অগ্রসর হইতে হইতে সাতার জলে পড়িলেন । তখন সন্তরণ করিয়াই পথ অতিক্রম করিতে লাগিলেন । “পথের দুই পার্শ্বে অগণ্য মৃতদেহ ভাসিতেছে, আর তিনি জলমগ্ন রাজপথ সন্তরণ করিয়া অতিক্রম করিতেছেন, এ দৃশ্য কল্পনা-নেত্ৰে দৰ্শন করিলেও শরীর কণ্টকিত হয়। কিন্তু তিনি এই ভাবেই সমস্ত পথ অতিক্রম করিয়া মন্দিরে উপস্থিত হইলেন এবং দেখিলেন, প্ৰচণ্ড বড়ে মন্দির ভগ্নদশায় উপনীত হইয়াছে। একটী লোকও উপস্থিত হয় নাই । * তখন ভৃত্যদ্বারা একখানি পত্ৰ পঠাইয়া মহৰ্ষির মত জিজ্ঞাসা করিলেন ।

  • উক্ত ঝড়ের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলিয়াছিলেন যে,—“ঝড়ের পরদিন মেডিকেলু কলেজে ইংরেজ, ইহুদি, উড়ে, বাঙ্গালী, স্ত্রী, পুরুষ বিভিন্ন শ্রেণীর রাশীকৃত মৃতদেহ একত্ৰ হইয়াছিল। গঙ্গাতীরে প্রায় নৌকা ছিল না, নৌকার কাঠ ও প্রেক পড়িয়া ব্লছিয়ছিল, জাহাজ রান্তার উপর উঠিয়াছিল। নৌকা করিয়া শান্তিপুরে যাইতে পথে মানুষ, গরু, ঘোড়া, ছাগল, শৃগাল, কুকুর ইত্যাদির অসংখ্য মৃতদেহের

সঙ্গে, কৌটিপেণ্টলনধায়ী সোণার চেইনঘড়ীশোভিত একটী বাবুর মৃতদেহওঁ দেখা