পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২। মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত হত্যাদি পূজা, আর মহাপ্রভুর, নিত্যানন্দ প্রভুর বিগ্ৰহ, এ কোন পরম্পরায় হইয়া আসিতেছিল ? তাহাতে যদি কহ যে, এ উত্তম কৰ্ম্ম, শাস্ত্ৰবিহিত আছে, যদ্যপিও পরম্পরাসিদ্ধ নহে, তন্ত্ৰাপি কৰ্ত্তব্য বটে । ইহার উত্তর ; শাস্ত্ৰবিহিত উত্তম কৰ্ম্ম, পরম্পরাসিদ্ধ না হইলেও, যদি কৰ্ত্তব্য হয়, তবে সর্বশাস্ত্ৰসিদ্ধ আত্মোপাসনা; যাহা অনাদি পরম্পরাক্রমে সিদ্ধ আছে, কেবল অতি অল্পকাল কোন কোন দেশে ইহার প্রচারের নূ্যনতা জন্মিয়াছে, ইহা কৰ্ত্তব্য কেন না হয় ? পঙ্ক চন্দন, চোর সাধু ইত্যাদিকে সমান জ্ঞান করা না কেন ? তাহার পর রামমোহন রায় বলিতেছেন ;-“শুনিতে পাই যে, কোন কোন ব্যক্তি কহিয়া থাকেন যে, তোমার। ব্ৰহ্মোপাসক, তবে শাস্ত্ৰপ্ৰমাণ সকল বস্তুকে ব্ৰহ্মবোধ করিয়া পঙ্ক চন্দন, শীত উষ্ণ, আর, চাের সাধু এ সকলকে সমান জ্ঞান কেন না করি ? ইহার উত্তর এক প্রকার বেদান্তসুত্রের ভাষা বিবরণের ভূমিকাতে, ১০ দশের পৃষ্ঠে লেখা গিয়াছে যে, বশিষ্ঠ, পরাশর, সনৎকুমার, ব্যাস, জনক ইত্যাদি ব্ৰহ্মনিষ্ঠ হইয়াও লৌকিক জ্ঞানে তৎপর ছিলেন ; আর, রাজনীতি এবং গৃহস্থব্যবহার করিয়াছিলেন ; তাহ যোগবশিষ্ঠ, মহাভারতাদি গ্রন্থে স্পষ্টই আছে। ভগবান কৃষ্ণ, অৰ্জ্জুন যে গৃহস্থ তাহাকে ব্ৰহ্মবিদ্যাস্বরূপ গীতার দ্বারা ব্ৰহ্মজ্ঞান দিয়াছিলেন, এবং অর্জনও ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রাপ্ত হুইয়া, লৌকিক জ্ঞানশূন্য না হইয়া, বরঞ্চ তাহাতে পটু হইয়া রােজ্যাদি সম্পন্ন করিয়াছিলেন। বশিষ্ঠদেব, ভগবান রামচন্দ্রকে উপদেশ করিয়াছেন ;- বহির্ব্যাপারসংরস্তোহদি সংকল্পবৰ্জিত: | কৰ্ত্তা বহির কৰ্ত্তান্তরে।বং বিহার রাঘব ॥