পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ মহাত্মা রাজা রামমোহন বায়ের জীবনচরিত দায়িত্ব, পাপপুণ্য, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম ও কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্যেব নৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় রূপে স্থাপিত বহিয়াছে। পাবমেশ্বব ধৰ্ম্মনিয়মের প্রেবায়িতা, বিধিনিষেধের কীৰ্ত্তা, শুভাশুভ কৰ্ম্মানুযায়ী ফলদাতা বলিয়া তিনি বিশ্বাস করিতেন, এবং অদ্বৈতবাদ এই বিশ্বাসেব বিবোধী না হইয়া প্ৰত্যুত সমর্থনকাৰী বলিয়া মনে কবিতেন। পাবমেশ্ববিকে সাক্ষাৎ বিদ্যমান জানিয়া তাহাব নিয়মবক্ষার জন্য যথাসাধ্য যত্ন কবিতে হইবে, ইহাই বাজার উপদেশ । গোস্বামীর সহিত বিচার ভট্টাচায্যে বা পাব, একজন শ্ৰীচৈতন্যে বা ভক্ত গোস্বামী, বামমোহন বায়ের বিরুদ্ধে পুস্তক প্রচার করেন । বামমোহন বায় ১২২৫ সালেব ২ বা আষাঢ় (খ্ৰীঃ অঃ ১৮১৮ সাল) উহাব উত্তব-পুস্তক প্ৰকাশ কবিলেন। উক্ত গ্রন্থে প্ৰতিপন্ন হই যাছে যে, বেদাৰ্থ নিৰ্ণয়পক্ষে স্মৃত্যাদি শাস্ত্রেরই প্ৰাধান্য । ভাগবত শাস্ত্ৰ বেদান্ত সূত্রেীব ভাষ্য নহে । গোস্বামী একটি প্রশ্ন কবিয়াছেন, তাহাব সারমর্ম এই যে, সৎস্বৰূপ পরব্রহ্ম যে, সকল বেদেব প্ৰতিপাদ্য ইহা দৰ্শনকাব মাত্ৰেই স্বীকাব কবিয়াছেন । কিন্তু ব্ৰহ্মেতে কোন উপাধি দোষ স্পর্শ হইতে পাবে না। সুতবাং বেদ সকল, র্তাহাকে কি প্রকারে প্রতিপন্ন কবেন ? এই প্রশ্নোব উত্তরে বামমোহন বায় বলিতেছেন,-“যাবৎ বিদিত বস্তু অর্থাৎ যে যে বস্তুকে চক্ষুরাদি ইন্দ্ৰিয়ের দ্বাবা জানা যায়, ব্ৰহ্ম সে সকল বস্তু হইতে ভিন্ন হয়েন, এবং ঘট-পটাদি হইতে ভিন্ন, অথচ অদৃশ্য যে পবমাণু তাহা হইতেও ভিন্ন হয়েন । বৃহদারণ্যক - उ2ाड अggभl cनडि (नडि । এ বস্তু ব্ৰহ্ম নহে, এবস্তু ব্ৰহ্ম নহে, ইত্যাদিরূপে যাবৎ জন্য বস্তু হইতে ব্ৰহ্ম ভিন্ন হয়েনা; এইমাত্র ব্রহ্মেব উপদেশ বেদে কবেন ৮ কিন্তু জগতেব