পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত এ সকল শাস্ত্ৰ অপ্ৰাপ্য নহে ; সুতরাং তাহাতে কাহারও প্রতারণার সম্ভাবনা নাই । অতএব তাহার কিঞ্চিৎ লিখিতেছি। কঠবল্পী :- আশব্দমম্পর্শমরূপমব্যয়ং তথার সং নিত্যমগন্ধবাচ্চ যৎ । ইত্যাদি, ইত্যাদি । বেদাদি শাস্ত্ৰ, প্ৰাকৃত মানুয্যের বোধগম্য হইতে পারে কি না ? গোস্বামী বলেন যে, বেদ ও ব্রহ্মসূত্র এবং বেদান্তাদি শাস্ত্ৰ প্ৰাকৃত মনুষুেব বোধগম্য হইতে পারে না । একথার উত্তরে রামমোহন রায় বলিতেছেন,-“যদ্যপি বেদ দুজ্ঞেয় বটেন, তত্ৰাপি বেদের অনুশীলন করা ব্ৰাহ্মণের নিত্যধৰ্ম্ম হইয়াছে, অতএব তাহার অনুষ্ঠান সৰ্ব্বথা কৰ্ত্তব্য। শ্রুতি :- ব্ৰাহ্মণেন নিঃকারণে ধৰ্ম্মঃ ষড়ঙ্গে বেদোহন্ধ্যোয়ো জ্ঞেয়শ্চ ইতি । ব্ৰাহ্মণের নিষ্কারণ ধৰ্ম্ম এই যে, ষড়ঙ্গ বেদের অধ্যয়ন করিবেন এবং অর্থ জানিবেন। ভগবান মনু :- আত্মজ্ঞানে শমে চ স্যাৎ বেদাভ্যাসে চ যত্নবান। ব্ৰহ্মজ্ঞানে এবং ইন্দ্ৰিয়নিগ্ৰহে ও বেদাভ্যাসে ব্ৰাহ্মণ যত্ন করিবেন। বেদ দুজ্ঞেয় হইলেও, বেদার্থজ্ঞান ব্যতিরেকে, আমাদের ঐহিক পারিত্ৰিক কোন মতে নিস্তার নাই। এই হেতু, বেদের অর্থাবধারণ সময়ে, সেই অর্থে সন্দেহ না জ্ঞান্মে, এই নিমিত্ত, দ্বিতীয় প্রজাপতি ভগবান স্বায়ভুব মনু, ধৰ্ম্মসংহিতাতে তাবৎ বেদার্থের বিবরণ করিয়াছেন।