পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩8 মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত দিতেন । ইহাতে গোপের ক্ৰোধ করিয়া দুৰ্ব্বাক্য কহিলে হাসিতেন ; আর চৌৰ্য্যবৃত্তির দ্বারা প্ৰাপ্ত যে সুস্বাদু দধি দুগ্ধ তাহা ভক্ষণ করিতেন ; আর আপন খাদ্য ঐ দধি দুগ্ধ বানরদিগ্যে বিভাগ করিয়া দিতেন, আর না খাইতে পারিলে সেই সকল ভাণ্ড ভাঙ্গিতেন, আর খাদ্যদ্রব্য না পাইলে ক্ৰোধ করিয়া গোপবালককে রোদন করাইয়া প্ৰস্থান করিতেন । ২২ ৷৷ এইরূপে, পরিষ্কৃত গৃহের মধ্যে বিষ্ঠামূত্ৰাদি ত্যাগ করিতেন, চৌৰ্য্যকৰ্ম্ম করিয়াও সাধুর ন্যায় প্ৰসন্নরূপে থাকিতেন। ২৪ ৷৷ শ্ৰীকৃষ্ণ গোপীদিগের বস্ত্ৰহরণপূর্বক বৃক্ষারোহণ করিয়া গোপীদিগেব প্ৰতি কহিতেছিলেন, যদি তোমরা আমার দাসী হও, এবং আমি যাহা বলি তাহা কব, তবে তোমরা হাস্যবিদনে আমার নিকট ঐ রূপ বিবাস্ত্রে, আসিয়া বস্ত্ৰ গ্ৰহণ কর । ১২ ৷ নৃত্যের দ্বারা দুলিতেছে যে কুণ্ডলদ্বয়, তাহার শোভাতে ভূষিত হইয়াছে যে আপন গণ্ড, সেই গণ্ডকে শ্ৰীকৃষ্ণের গণ্ডদেশে অৰ্পণ করিতেছেন এমন যে কোন গোপী, তাহার মুখ হইতে শ্ৰীকৃষ্ণের চব্বিত তাম্বুল গ্ৰহণ করিতেন । ১৪ ৷৷ এই সকল সৰ্ব্বলোকবিরুদ্ধ আচরণ, বেদান্তের কোন শ্রুতিতে এবং কোন সূত্রের অর্থ, বিজ্ঞ ব্যক্তিরা পক্ষপাত ত্যাগ করিয়া কেন না বিবেচনা করিয়া দেখেন ? কৃষ্ণ নাম ও তাহার অন্যান্য প্ৰসিদ্ধ নাম এবং তঁহার রূপ ও গুণ বৰ্ণনাতে শ্ৰীভাগবত পরিপূর্ণ। কিন্তু বেদান্তসূত্রের প্রথম অবধি শেষ পৰ্য্যন্ত কৃষ্ণনাম, কি কৃষ্ণের কোন প্ৰসিদ্ধ নামের লেশ নাই ; র্তাহার রূপগুণবর্ণনের সহিত কোন সম্বন্ধই নাই। যে গ্ৰন্থ র্যাহার উদ্দেশ্যে লিখিত, সেই গ্রন্থে সেই ব্যক্তির বা দেবতার প্রসিদ্ধ নাম ও গুণের বর্ণনা বাহুল্যরূপে থাকে । কিন্তু সে গ্রন্থে তাহার নাম ও গুণবর্ণনা কিছুই নাই, এমন হইতে পারে না । অতএব, এই সকল বিবেচনা