পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত কিন্তু ইহার দ্বারা এমত নিশ্চিত হয় না যে, অপকৃষ্ট সাকার উপাসক আর নাই। বরঞ্চ, ইহা প্ৰত্যক্ষ দেখা যাইতেছে যে, অনেক অনেক ব্যক্তি অনুষ্ঠানের তারতম্যরূপে সাকার উপাসনা করিতেছেন। তাহাতে উপাসনার মান্যতা কিম্বা অমান্য তা বিজ্ঞলোকের নিকট হয়, এমত নহে ।” নিম্নলিখিত কয়েক পংক্তিতে দেখা যাইতেছে যে, কবিতাকার রামমোহন রায়কে অত্যন্ত অর্থানুরাগী বলিয়া প্ৰমাণ করিবার জন্য একটি ঘটনাব উল্লেখ করিতেছেন । রামমোহন রায় বলিতেছেন যে, উক্ত ঘটনা অমূলক ; কিন্তু উহা সত্য হইলেও, আত্মরক্ষা বা আত্মীয় রক্ষার জন্য, কোন কাৰ্য্য করিলে ধৰ্ম্মহানি হয় না। “২২ পৃষ্ঠার ২০ পংক্তিতে কবিতাকার লিখেন যে, আপন পাওনার অন্বেষণের কারণ পাগলের ন্যায় চুচূড়া মোং দিবিরিঙ সাহেবের তত্ত্বে যাই । যদ্যপিও ব্যবহারে আত্মরক্ষণ এবং আত্মীয় রক্ষণ করিলে পরমার্থে হানি কিছুই নাই, কিন্তু দি বিরিঙ সাহেবের তত্ত্বে যাওয়া এ কেবল মিথ্যা অপবাদ । যেহেতু, দিবিরিঙ সাহেবের সহিত দেন পাওনা কোন কালে নাই । দ্রবিঙ সাহেব বৰ্ত্তমান আছেন এবং তঁহার কাগজ পত্ৰ ও চাকর লোক বিদ্যমান। বিশেষতঃ চুচুড়াতে কয়েক বৎসর হইল যাতায়াত মাত্ৰও নাই। অতএব, বিজ্ঞলোক বিবেচনা করিলে, কবিতাকার কি পৰ্য্যন্ত আমুদের প্রতি দ্বেষ ও অপকারের বাঞ্ছা করেন, এবং মিথ্যারচনাতে কবিতাকারের শঙ্কা আছে কি না, ইহা অনায়াসে জানিতে পরিবেন ।” অনেকে মনে করেন যে, ব্ৰাহ্ম শব্দ রাজা রামমোহন রায়ের পরে সৃষ্টি হইয়াছে; তাহার সময়ে ব্ৰহ্মোপাসক অর্থে উক্ত শব্দের Jशं ििष्ट्व्ल ना । কিন্তু শেষবার মুদ্রিত রাজার গ্রন্থের ৬৫৪ পৃষ্ঠায়, পঞ্চম পংক্তিতে, ও ৬.৫৫ পৃ ২১ পংক্তিতে, ব্রহ্মোপাসক অর্থে ব্ৰাহ্ম শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে।