পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳՀ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত “ব্রেহ্মোপাসনা’ এই পুস্তক ১৭৫০ শকে, ( ১৮২৮ খ্ৰীঃ অঃ) প্ৰথম প্ৰকাশিত হয়। ইহাতে ব্ৰহ্মোপাসনার একটি পদ্ধতি আছে। উক্ত পদ্ধতি দেখিয়া কেহ কেহ মনে করিতে পাবেন যে, রামমোহন রায়ের সময়ে উহা ব্ৰাহ্মাসমাজে ব্যবহৃত হইত। কিন্তু বাস্তবিক তাহা নহে। তখন সমাজে কেবল উপনিষৎ পাঠ, ব্যাখ্যা ও সঙ্গীত হইত। ধৰ্ম্মের দুইটি মূল রামমোহন রায় উক্ত পুস্তকে বলিতেছেন যে, সমুদায় ধৰ্ম্ম দুইটি মূলকে আশ্ৰয় করিয়া আছে। প্রথম, সকলের নিয়ন্ত পাবমেশ্বরের প্ৰতি নিষ্ঠ। দ্বিতীয়, মনুষ্যের মধ্যে পরস্পর সৌজন্য ও সাধুব্যবহার। পরমেশ্বরের প্রতি নিষ্ঠা কিরূপ হওয়া উচিত, তাহা বিশেষ করিয়া বলিতেছেন। তঁহাকে আপনার আয়ু, দেহ ও সমুদায় সৌভাগ্যের কারণ জানিয়া সৰ্ব্বাস্ত:করণে শ্রদ্ধা ও প্রীতিপূর্বক, তাহার নানাবিধ সৃষ্টিকাৰ্য্য দেখিয়া তাহাকে চিন্তা করা, এবং তঁহাকে ফলাফলদাতা, শুভাশুভের নিয়ন্ত জানিয়া সৰ্ব্বদা তাহাকে সমীহ করা উচিত। সর্বদা এইরূপ অনুভব করা। কৰ্ত্তব্য যে, আমরা যাহা কিছু চিন্তা করিতেছি, কথা বলিতেছি, ও কাৰ্য্য করিতেছি, সকলই পরমেশ্বরের সাক্ষাতে করিতেছি । ধৰ্ম্মের দ্বিতীয় ভিত্তি, পরস্পর সাধুব্যবহারসম্বন্ধে, রাজা এইরূপ নিয়ম বলিতেছেন যে, অন্যে আমাদের সহিত, যেরূপ ব্যবহার করিলে আমাদের সন্তোষ হয়, আমরাও অন্যের সহিত সেইরূপ ব্যবহার করিব ; এবং অন্যলোকে আমাদের প্রতি যেরূপ ব্যবহার করিলে আমরা অসন্তুষ্ট হই, তাহদের প্রতি আমরা সেরূপ ব্যবহার কদাচ করিব না ।