পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরও কয়েকখানি গ্ৰন্থ প্ৰকাশ ՀՀ Գ বেদ-বেদান্তের কিছু মাত্র অনুশীলন ছিল না। বেদ মূলাশাস্ত্ৰ, সৰ্ব্বোপরি মান্য, ইহা অবশ্যই হিন্দুমাত্ৰই স্বীকার করিতেন, কিন্তু বেদে কি আছে, তদ্বিষয়ে আতি অল্প লোকেরই প্ৰকৃত জ্ঞান ছিল । “রামমোহন রায়ের একজন অনুগত শিষ্য” এ বিষয়ে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় এইরূপ লিখিয়াছেন ;-“বহুদিবসাবধি বঙ্গদেশে বেদের চৰ্চা উঠিয়া গিয়াছিল ; ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতেরা রামমোহন রায়ের নিকট হইতে বেদ-বেদান্তের মন্ত্র, ব্ৰাহ্মণ, শ্লোক, সুত্র ও ভাৰ্য্য শুনিয়া একেবারে চমকিত হইয়া উঠিলেন। উপনিষদ হইতে রামমোহন রায় যে ভূরি ভূরি স্বমত-পোষক ব্ৰহ্ম প্ৰতিপাদক বাক্য সকল উদ্ধৃত করিতে লাগিলেন, তাহাতে ভট্টাচাৰ্য্যের ও গোস্বামী বা অভিভূত হইয়া পড়িলেন।” সাধারণতঃ সকলেই ভাবিতেন যে, বেদে দুৰ্গা, কালী, কৃষ্ণ প্ৰভৃতি দেব-দেবীর পূজাই সমর্থিত হইয়াছে। “বেদে বলে তুমি ত্রিনয়না।” রামমোহন বাযি ধৰ্ম্ম প্রচারে প্রবৃত্ত হইয়া বেদ-বেদান্তে কি আছে, তদ্বিষয়ে লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিলেন । অসাধারণ পরিশ্রম ব্ৰহ্মজ্ঞান সম্বন্ধে ভূরি ভুরি শাস্ত্ৰীয় শ্লোক উদ্ধৃত করিয়া রামমোহন রায় ক্ৰমে ক্ৰমে অনেক গ্ৰন্থ প্ৰকাশ করিলেন । উহাতে তাহার যে প্ৰকার পরিশ্রম করিতে হইয়াছিল, ভাবিলে আশ্চৰ্য্য হইতে হয় । তাহার পুস্তক সকলের মধ্যে অনেকগুলি ক্ষুদ্রাবয়ব । কিন্তু তাহাতে প্ৰমাণস্বরূপ যে সকল শাস্ত্রীয় বচন উদ্ধৃত হইয়াছে, তাহা সংকলন করিবার জন্য, যার-পরনাই পরিশ্রম সহকারে রাশি রাশি গ্রন্থ পাঠ আবশ্যক হইয়াছিল। অসাধারণ মেধাবশতঃ তিনি এই গুরুতর কাৰ্য্যে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিয়াছিলেন।